আর এই সময়েই দফায় দফায় বৃষ্টি এবং সঙ্গে বড় বড় শিলার দাপটে চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই ক্ষতির সংখ্যাটা বেশ অনেক। বেশ কয়েক হাজার বিঘা ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠেই ঝরে গিয়েছে সোনালি ফসল।
আরও পড়ুন: অভাবনীয় সেই ছবি…! বেনারসের আদলে গঙ্গা আরতি রঘুনাথগঞ্জে, সপ্তাহে দু’দিন বিরাট আয়োজন
advertisement
ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন কৃষকেরা। যদিও কৃষকদের সেই সমস্যার কিছুটা মুশকিল আসান করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই কৃষকদের সহায়তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে নবান্নের তরফে। স্বাভাবিকভাবে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন কৃষকেরা। বেশ কয়েক মাস আগে প্রবল বৃষ্টি সঙ্গে শিলাবৃষ্টির দাপটে নাজেহাল হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর দাঁতন ১, দাঁতন ২ ব্লকে, মোহনপুর, কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড় ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই শিলাবৃষ্টির দাপটে। বাড়িতে ফসল তুলতে পারেননি কৃষকেরা। কারও চার বিঘা, কারও ছয় বিঘা, আবার কেউ কেউ ভাগ চাষ করে এই ধানের চাষ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারল মাল বোঝাই ট্রাক! ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ১
তবে ধান তোলার সময় শিলাবৃষ্টির দাপটে ক্ষয়ক্ষতি হয় পুরোটাই। মাঠেই ঝরে যায় ধান।এরপরেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণা মতই তারা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জন্য ১৩৬ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ছ’টি ব্লকের ১৮ টি ব্লকের ৪০৫টি মৌজায় এই শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক হয় ক্ষতি হয়েছে। যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দাঁতন ১, দাঁতন ২ ও মোহনপুর ব্লকে। বেশ কয়েক হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
ব্লক এবং জেলা আধিকারিক মারফত সেই আবেদনের স্ক্রুটিনির পর ১৩৬ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতির জন্য এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে আবেদনকারী কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। কৃষকদের সংসারের ব্যয় নির্বাহের খরচ আসে চাষাবাদ করে, অন্যদিকে সামান্য লাভে ধান চাষ করেন কৃষকেরা তার ওপর দোসর শিলাবৃষ্টি স্বাভাবিকভাবে এই ক্ষতিপূরণ পেলে বেশ উপকৃত হবেন তারা।