আক্ষরিক অর্থেই বেহেড মাতাল। কী বলছেন, কী করছেন হুঁশ নেই। থাকবে কী করে? স্কুলে ঢোকার আগেই যে আকণ্ঠ পান করে ফেলেছেন বেলদার পোক্তাপোল প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক যুগলকিশোর দলুই।
বেলা এগারটায় স্কুল শুরু। স্কুলের বাইরে রাস্তায় শুয়ে প্রধান শিক্ষক। তাঁকে টপকেই স্কুলে ঢুকছে পড়ুয়ারা। খুব একটা হেলদোল নেই কারও। হেডস্যারকে এভাবেই দেখতে অভ্যস্ত পড়ুয়া থেকে শিক্ষক সকলেই। প্রায় রোজই মদ খেয়েই স্কুলে আসেন হেডস্যার। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ও স্কুল পরিদর্শককে বিষয়টি জানিয়েও লাভ হয়নি কোনও।
advertisement
মাঝেই মাঝেই স্কুল কামাই। তারপর এসে একসঙ্গে সই। কীর্তিমান প্রধান শিক্ষকের এরকম আরও অনেক কীর্তি। মিড ডে মিলের হিসেব দিতে না পারায় এক সপ্তাহ আগেই তাঁকে সাবধান করেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রাথমিকে ভরতির অভিযোগও আছে। তবু তের-বছর ধরে পোক্তাপোল প্রাইমারি স্কলের প্রধান শিক্ষক তিনি-ই।