মঞ্চস্থ হল মল্লিকা সেনগুপ্তের উপন্যাস অবলম্বনে এবং মলয় রায়ের রচনা ও নির্দেশনায় NSD আয়োজিত- থিয়েটার অলিম্পিকে সাড়া জাগানো নাটক “সীতায়ন”। সীতার চোখ দিয়ে কিংবা বলা যায় আজকের নারীর চোখ দিয়ে দেখা অন্য রামায়ণ। বাংলার রঙ্গমঞ্চে মলয় রায় নির্মাণ করলেন এমনই এক নাটক। সমস্ত নারীর অবচেতনে বছরের পর বছর রামায়ণ নিয়ে নারী পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে দৃঢ় ও যথাযথ প্রশ্নচিহ্নগুলোই এক অভূতপূর্ব নাট্যমোড়কে উঠে এসেছে সীতায়নে।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘বড়লোকের বিটি লো’ লিখেও তিনি হতদরিদ্র, পদ্মশ্রী পেয়েও ৯০ বছর বয়সে পথে পথে গান গাইতে হয় রতন কাহারকে
রামায়ণে রামচন্দ্র এক মহামানব। তাঁর বীরত্ব, স্বার্থত্যাগ, মহানুভবতা তাঁকে দেবত্বের আসনে বসিয়েছে। কিন্তু সীতা? জন্ম থেকেই দুর্ভাগ্য তাঁর ছায়াসঙ্গিনী। বাহ্যিক দুঃখ সীতার মনকে কখনও মলিন করতে পারেনি। কিন্তু প্রিয়তম মানুষটি যখন সবার সামনে অপমান করেন, তখন আগুনকেই যেন নিশ্চিন্ত আশ্রয় বলে মনে হয়।
তবে নাটকের শেষ প্রান্তে অসহায় সীতা বদলে যান এক প্রতিবাদী নারীচরিত্রে। এ নাটকে মূলত দুজন কুশীলবকে ব্যবহার করে গোটা রামায়ণের সীতার অধ্যায়গুলির নির্যাসকে তুলে ধরা হয়েছে।