তিনি নদিয়ার গাংনাপুর থানা গোপীনগর গ্রামের ছেলে। ছোটবেলা থেকে আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়াশোনা করেছেন। গোপীনগর প্রাইমারি স্কুল থেকে তাঁর পড়াশোনার পথ চলা শুরু। গাছের নীচে বসেই স্কুলের পড়াশোনা করতেন তিনি। ৪০ বছর আগে, ১৯৮১ সালে অসীম বাবু চিকিৎসাবিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষার জন্য আমেরিকা যান। তারপর তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, মুখ্য বৈজ্ঞানিকের ভূমিকা পালন করেছেন। তবে ২০০১ সাল থেকে তিনি অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। তার নামে পাঁচটি আন্তর্জাতিক পেটেন্ট রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : চার দেওয়ালের স্কুলবাড়ি নয়, রেলগাড়িতে বসেই পড়াশোনা করবে অসংখ্য ‘তোত্তো চান’
আরও পড়ুন : পর্যটকদের জন্য সুখবর! জনপ্রিয় এই গন্তব্যের উড়ান এ বার অন্ডালের বিমানবন্দর থেকে
একজন বাঙালি সন্তানের এই সাফল্যে খুশি গোটা রাজ্য-সহ নদিয়া জেলা বিশেষ করে গাংনাপুরের মানুষ। ছোটবেলায় তিনি যে স্কুলে পড়তেন সেই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, "আমরা অসীমবাবুর এই কৃতিত্বে গর্ববোধ করছি। তবে তার সঙ্গে কোনওদিন দেখা হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। শুনেছি তিনি এই স্কুলেই পড়াশোনা করতেন কার্যত গাছের তলায়।" এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, "এখনও প্রায় প্রতি বছরই একবার করে তিনি বাড়িতে আসেন। আর বাড়িতে এলে সেই পুরনো যে বিদ্যালয় থেকে পথ চলা শুরু হয়েছিল সেই বিদ্যালয় এসে ঘুরে যান।" তবে গত দুই বছর করোনার কারণে তিনি বাড়িতে আসতে পারেননি। কয়েক মাস পরে আবারও বাড়ি ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে।
( প্রতিবেদন : মৈনাক দেবনাথ)
