দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না। তাই বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি উড়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) হাত থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন। তারপর থেকে বাংলার নির্বাচনে কার্যত দলের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। মিটিং-মিছিল থেকে রোড-শোয়ে তাঁকে দেখা যেত একেবারে সামনের সারিতে। কিন্তু নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র ডোমজুড় থেকে হেরে যান। তারপর থেকেই তাঁকে সেভাবে আর সামনের বিজেপি নেতৃত্বের ধারে-কাছে ঘেঁসতে দেখা যায়নি। ফলে, তিনি যে ফের তৃণমূলে ফেরার কথা ভাবছেন, এমন জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে বিজেপির আত্মসমালোচনা প্রয়োজন আছে সদৃশ মন্তব্য করে, সেই জল্পনায় একপ্রকার শিলমোহর দেন।
advertisement
সেই জল্পনা আরও বাড়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকা তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের বাড়িতে পৌছলে। যদিও কুনালের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একেবারে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা তাঁদের মধ্যে হয়নি। সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই তিনি গিয়েছিলেন। একই কথা বলেন কুনাল ঘোষও। এরপর রবিবার দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা শিবানী চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হলে, সেখানে পৌঁছে যান রাজীব।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে তৎপরতা বেড়েছে। সূত্রের খবর মুকুল রায়ের হাত ধরে নিজেদের পুরনো দলে ফিরতে চাইছেন একাধিক বিজেপি নেতা। সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, শীলভদ্র দত্ত, প্রবীর ঘোষাল, সোনালী গুহ, দেবাশিস জানা, বাগদার BJP বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, সুনীল সিং-সহ আরও অনেকে। তবে তাঁদের বিষয়ে দলের কী মনোভাব, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তথ্য সহায়তাঃ দেবাশিস চক্রবর্তী।