বন দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, বছরখানেক আগেই কাটোয়ার শাঁখারি ঘাটে গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছিল রাজ্য বন দফতর। ডলফিন রক্ষার জন্য বারবার স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়েছে। তবুও ডলফিনের মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- 'শুনছি উনি ৫ তারিখ দিল্লি যাবেন... তার আগেই...' ডিসেম্বরের শুরুতে বিরাট পরিকল্পনা ঘোষণা শুভেন্দুর
advertisement
ওই এলাকায় চল্লিশটি গাঙ্গেয় ডলফিন রয়েছে বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। তাই তার সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু একের পর এক ডলফিনের মৃত্যুর কারণে তাদের সংখ্যা কমছে। এই মৃত্যু আটকাতেই গড়া হচ্ছে ডলফিন মিত্র ক্লাব। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা এই ক্লাবের সদস্য হবেন।
বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, ভাগীরথীতে যতগুলি গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সেই ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তাদের দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইলেকট্রিক জালের ফাঁদেই মৃত্যু হচ্ছে ডলফিনগুলির। তাই এই মৃত্যু রুখতে ইতিমধ্যেই কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুরে মৎস্যজীবীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে এই ডলফিন মিত্র ক্লাব গড়ার কথা বলা হয়েছে।
জালে ডলফিন আটকে গেলে তারা যাতে সঙ্গে সঙ্গে বনদফতরকে খবর দেয়, সেই বার্তা মৎস্যজীবীদের দেওয়া হয়েছে। জাল ছিঁড়ে গেলে ক্ষতি পূরণের একটা অংশ দেবে বন দফতর।
আরও পড়ুন- West Bengal News: খেতে দিত না স্বামী, সঙ্গী ননদ, অশোকনগরে গৃহবধূর কী মর্মান্তিক পরিণতি!
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যাপ্ত খাবার মেলার কারণে ওই এলাকা গাঙ্গেয় ডলফিনদের বেশি পছন্দ বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু একের পর এক ডলফিনের মৃত্যু চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলছেন, ইলেকট্রিক জাল তাঁরা ব্যবহার করেন না। তবে অনেকেই পাশের জেলা থেকে এসে লুকিয়ে চুরিয়ে সেই জাল ব্যবহার করে থাকেন। এই জাল ব্যবহারের প্রবণতা যাতে বন্ধ করা যায় সেই ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখা হবে।