রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র মহারাজের বর্তমান বংশধর তথা এই মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার তিকেন্দ্রজিৎ সিং জানান, ‘‘এই মন্দিরের যেমন একটা ইতিহাস আছে, পাশাপাশি আমাদের এই মন্দিরের যে সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তারও একটা ঐতিহ্য আছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে মণিপুরের মহারাজ রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র মহারাজ স্বপ্নাদেশ পেয়ে কাঁঠাল কাঠ দিয়ে নির্মিত অপরূপ এই অনুমহাপ্রভুর মূর্তিটি নবদ্বীপে নিয়ে আসেন। মূর্তিতে মণিপুরী শৈলীর প্রভাব সুস্পষ্ট দেখা যায়। রাজকুমার তিকেন্দ্রজিৎ সিং আরও জানান বর্তমানে তাঁরা মোট ছয় শরিক এখানে বসবাস করেন, বর্তমানে এখানে প্রায় একশো মণিপুরী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বলেও তিনি জানান।
advertisement
তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে দোল উৎসবে থাকে বেশ কিছু ব্যাতিক্রমি অনুষ্ঠান ও নিয়মও। যেমন দোল উৎসবের আগের দিন সব জায়গায় ন্যাড়াপোড়া হলেও এখানে দোল পূর্ণিমার দিন অনুষ্ঠিত হয়। এরই সঙ্গে দোল উৎসবের কদিন এখানে অনুষ্ঠিত হয় মণিপুরী ঘরানার বিভিন্ন লোকসংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, পাশাপাশি এই দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে সুদুর মণিপুর রাজ্য থেকেও সমাগম ঘটে হাজার হাজার ভক্তরও। দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে একাধারে যেমন নবদ্বীপে সমাগম ঘটেছে বহু ভক্ত ও পর্যটকদের, পাশাপাশি এই উৎসবকে ঘিরে মণিপুর রাজবাড়িতে বসবাসকারী বাসিন্দা ছাড়াও মণিপুর রাজ্য থেকে বহু মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এখানে উপস্থিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : নিজের রাশি মিলিয়ে বাছুন হোলির রং-আবির! গুনে শেষ হবে না টাকা! যা ছোঁবেন, যেখানে হাত দেবেন…সোনা ফলবে
মণিপুররাজ ভাগ্যচন্দ্রের কন্যা বিম্ববতী দেবীর সেবিত অণুমহাপ্রভুর শ্রী বিগ্রহ দর্শন করতে ও মণিপুরী ঘরানার বিভিন্ন লোকসংস্কৃতি অনুষ্ঠান দেখতে প্রতিদিন নবদ্বীপ শহরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বহু এলাকার মানুষের সমাগম ঘটে দোল উৎসবে। কারণ একাধারে যেমন মণিপুরী ঘরানার এই ধরনের ভক্তিমূলক ও লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান সচরাচর দেখা মেলে না।