এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ওই কুকুরটি মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল৷ পাগল হয়ে পড়ায় কুকুরটিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়৷ কুকুরটি সাধারণ মানুষকে আঁচড়ে, কামড়ে দিচ্ছিল বলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন অনেকে৷ আর সেই কারণেই কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করা হল বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ৷
advertisement
স্থানীয় মানুষরা বলেছেন, হলদিয়া থেকে মহিষাদলের হরিখালি পর্যন্ত প্রায় শতাধিক মানুষজন আক্রান্ত হয়েছে পাগল কুকুরের কামড়ে। যার জেরে কুকুরের কামড় ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে মহিষাদলের গঙ্গামোড়, আনন্দপুর, কেশবপুর, কাপাসএড়্যা, স্কুলমোড়, হাইরোড, কাঞ্চনপুর জালপাই, তেরোপাড়া জালপাই এলাকায়। কামড় আর আতঙ্ক থেকে বাঁচতে কুকুরটিকে পিটিয়ে মারা হল বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন।
কিন্তু এই ঘটনা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়েও একটি প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে৷ কারণ, অসুস্থ কুকুরটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলে এই সমস্যার সমাধান আগে থেকেই পাওয়া যেত৷ কিন্তু তা না করে হিংসাত্মক পথ কেন নেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ এ ছাড়া কুকুরটিকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে কেন কাঁধে ঘরে ঘোরানো হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷