জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, একজন রুগীর সঙ্গে দশ থেকে বারোজন পরিবারের লোকজন ওয়ার্ডে ঢুকে যাচ্ছে। ফলে তাদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। এনিয়ে পরিবারের লোকেদের বলতে গেলে তাদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পরছে রোগীর পরিজনরা। তাদের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
advertisement
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, ঘটনা ঘটার এক ঘণ্টা পরে কর্তব্যরত সিকিউরিটি ওয়ার্ডে যায়। এমনকি জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ঐ নিরাপত্তারক্ষীও। এরপরই জুনিয়র ডাক্তাররা নিরাপত্তার অভাব বোধ করে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের আচরণ নিয়ে সরব হন রোগীর পরিবারের লোকজনেরও একাংশ। মঙ্গলবার সকালেও নিরাপত্তারক্ষীদের অভাব্য আচরণের প্রতিবাদে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে জড়ো হয়ে কর্তব্যরত সিভিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: পার্থকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত…! প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় বিরাট আপডেট! কী হতে চলেছে মঙ্গলবার?
জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনের সময় নিরাপত্তা মিলছে না। সোমবার রাতে বার বার ডাকা সত্বেও গার্ডের দেখা মেলেনি। এই অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে কেন? বিষয়টা আমরা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল, সুপারকে জানিয়েছি। এরপর আমরা জেনারেল বডির বৈঠকে বসব। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে রোগীর আত্মীয়রা বলছেন, রাতে রোগীর প্রয়োজনেই তাঁদের কাছে যেতে হয়। কিন্তু তখন সেখানে জুনিয়র ডাক্তার, নার্সদের দুর্ব্যবহারের মধ্যে পড়তে হয়। গত রাতে বিনা চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। রোগীর আত্মীয়রা সেই বিষয়টিই চিকিৎসকদের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।