গত বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নেন অরুণিমা পাল৷ অভিযোগ, বিক্ষোভ সরাতে গিয়ে বেবি তামাং নামে এক মহিলা কনস্টেবল অরুণিমার হাতে কামড়ে দেন৷ এই অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র বিতর্ক ছড়ায়৷ অভিযোগের আঙুল ওঠে বেবি তামাং নামে পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবলের বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন: 'আমার হাতেও কামড়াতে পাঠানো হয়েছিল,' শুভেন্দুর নিশানায় বেবি তামাং
advertisement
পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য অরুণিমার বিরুদ্ধেও পাল্টা ওই পুলিশকর্মীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়৷ অরুণিমাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল আদালত থেকে জামিন পান অরুণিমা৷
আদালত থেকে জামিন পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বেলঘড়িয়ায় বাপের বাড়িতে আসেন অরুণিমা৷ এ দিন সকালে ফের হাতে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর৷ তখনই কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অরুণিমাকে৷ অরুণিমার হাতের ক্ষত পরীক্ষার পর প্রেস্ক্রিপসনে চিকিৎসক স্পষ্ট লিখে দেন, মানুষেক কামড়ের দাগ রয়েছে অরুণিমার হাতে৷ ওষুধ, ইঞ্জেকশন লিখে দেওয়ার পাশাপাশি অরুণিমাকে আটচল্লিশ ঘণ্টা বিশ্রামের পরামর্শও দেন চিকিৎসক৷
আরও পড়ুন: বিপদ আরও বাড়ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, ইডি-র এক সমনেই সমস্যা বাড়তে পারে কয়েক গুণ!
এ দিনই অরুণিমার বাড়িতে যায় বিজেপি-র প্রতিনিধি দল৷ অরুণিমার এ দিনও টেট চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিতে কলকাতায় আসার কথা ছিল৷ কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় সকালে আসতে পারেননি তিনি৷
পুলিশের সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, অরুণিমা যে ওই মহিলা কনস্টেবলকে কামড়ে দিয়েছেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় তার প্রমাণ মিলেছে৷ ঘটনার দিন রাতে অরুণিমাকেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছিল পুলিশ৷ যদিও সেই মেডিক্যাল রিপোর্টে কী এসেছিল, তা জানা যায়নি৷ এবার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকই অরুণিমার হাতে মানুষের কামড়ের দাগের কথা লিখে দেওয়ার পর পুলিশের তরফে অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, সেটাই দেখার৷