কিন্তু যে কোনও সাধারণ কেঁচো দ্বারা তা সম্ভব নয়। সেই সময় যুবক অচিন্ত পাইন আইআইটি খড়গপুর কলেজের গবেষণায় উঠে আসা শ্রেষ্ঠ কেঁচো আইসেনিয়া ফেটিডার সন্ধান পেয়েছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অচিন্তবাবু প্রথম ১০ কেজি এই উন্নত প্রজাতির কেঁচো কিনে নিয়ে আসেন দুর্গাপুরে।
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর এলাকায় একটি ফার্ম হাউস বানিয়ে সেখানে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেন। সেই সময় তিনি কংক্রিটের প্রায় ১০০টি চেম্বার তৈরি করেন। তার মধ্যে কলাগাছের টুকরো, কচুরিপানা-সহ গাছের শুকনো পাতা দিয়ে চেম্বারে ১০ শতাংশ অংশ ভরে দেন। তার মধ্যে ওই কেঁচো ছেড়ে দেওয়া হয়। তার উপর এক মাসের পুরোনো গোবর দিয়ে চেম্বারটি ভরে দেওয়া হয়। এই কেঁচোর পাচনক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত। অর্থাৎ খাবারও খায় দ্রুত, মল ত্যাগও দ্রুত করে।
মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ওই চেম্বারে কেঁচো ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি হয়ে যায় ৷ বর্তমানে অচিন্তবাবু প্রায় ৭০০টি চেম্বার বানিয়ে তাতে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছেন। কেঁচোর বংশ বৃদ্ধি হওয়ায় বছরে প্রায় পাঁচ হাজার টন সার উৎপাদন করছেন তিনি। ওই সার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কৃষিকার্যের জন্য যাচ্ছে। এর ফলে সেই সব জমি এবং বাগানেও এই মূল্যবান কেঁচোর ডিম সারের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ফলে সেখানেও এই উপকারী কেঁচোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন রাসায়নিক প্রয়োগে মাটি থেকে কেঁচো নির্মূল হয়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে মাটির উর্বরতা। এই কেঁচো ভার্মি ব্যবহারে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও ইউড্রিলাস ইউজেনিয়া ও আইসেনিয়া আন্দ্রেই প্রজাতির কেঁচো দিয়েও ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করা হয়ে থাকে। আইআইটি খড়গপুর কৃষি বিভাগের বিশেষজ্ঞরা আইসেনিয়া ফেটিডাকেই ভার্মি উৎপাদনের জন্য আদর্শ বলে নির্বাচিত করেন। আমরা সকলেই জানি, মাটি উর্বরতা ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য কেঁচোকে কৃষকের বন্ধু বলা হয়। বর্তমানে অতিন্ত্যবাবুর কাছেও মিলছে এই বিশেষ প্রজাতির কেঁচো।





