আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর শব্দ! ভেঙে পড়ল বর্ধমান হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের ২০০ বছরের প্রাচীন ভবন
স্থানীয় উদ্যোগে শুরু হয়েছে আমিন প্রশিক্ষণ শিবির, যেখানে প্রতিদিন বাড়ছে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা। আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও কেন এই ঐতিহ্যবাহী পেশায় আগ্রহ? তার উত্তর দিচ্ছেন প্রশিক্ষণার্থীরাই। একজন প্রশিক্ষণার্থী বলেন, “এখানে আমাদের শুধু পুরনো ফিতা বা লাঠি দিয়ে মাপজোক শেখানো হচ্ছে না, পাশাপাশি জিপিএস, টোটাল স্টেশন মেশিন (TSM), ড্রোন ইত্যাদি আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারের ধারণাও দিচ্ছেন প্রশিক্ষকরা। জমি সংক্রান্ত আইনি জটিলতা দিন দিন বাড়ছে, ফলে দক্ষ আমিনদের চাহিদা এখনো আছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ২১ বছরেই শেষ সব! নৌকা থেকে লাফ দিতেই যা ঘটল…, দামোদরে বেড়াতে যাওয়াই কাল হল যুবকের
প্রশিক্ষণের আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রযুক্তি যতই দিনের পর দিন উন্নত হোক না কেন, গ্রামীণ এলাকায় জমির সীমারেখা নির্ধারণ, পুরনো দলিল পাঠ বা স্থানীয় বিরোধ মেটাতে একজন অভিজ্ঞ আমিনের ভূমিকা কখনোই শেষ হবে না। তাদের কথায় “প্রযুক্তি সাহায্য করতে পারে, কিন্তু মাঠে নেমে বাস্তব জমির হিসাব কষার কাজ একজন অভিজ্ঞ আমিনই সঠিকভাবে করতে পারেন।”
বিশেষজ্ঞরাও একমত যদি এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শেখানো হয়, তবে এটি ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে নতুন দিশা দেখাতে পারে। আমিনদের শুধু ঐতিহ্য নয়, আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে পারলে এই পেশা আবারও শক্ত ভিত পেতে পারে। মল্লারপুরের এই শিবির তাই প্রমাণ করছে প্রযুক্তির ঝড়েও হারিয়ে যায় না ঐতিহ্য, বরং নতুন রূপে ফিরে আসে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা নিয়ে। বেকারত্বের এই সময়ে মল্লারপুরের যুবক-যুবতীদের হাতে সেই আশার আলো দেখাচ্ছে আমিন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।