এবারেও বেনা গ্রামের বাসিন্দারা করলেন কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। এক রাতে সবাই গ্রামে ফিরে এলেন। লক্ষ্মীপুজোর ভোগ, খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ার পর আবার ফিরে যাবেন নিজের নিজের ঘরে। ফের জনমানব শূন্য হয়ে পড়বে কুলটির বেনাগ্রাম। তবে গ্রামবাসীদের কথায় এবার ইঙ্গিত মিলেছে, হয়তো আগামী দিনে তারা ফিরে আসতে পারেন গ্রামে। কারণ রাস্তা হয়েছে। বসেছে বিদ্যুতের খুঁটি এবং আশেপাশে প্রচুর মানুষ জমি কিনে নতুন করে বসতি গড়ে তুলছেন। আর তাতেই ভরসা পাচ্ছেন এলাকার মানুষজন।
advertisement
কুলটির ভূত গ্রাম খ্যাত বেনাগ্রাম আবারও সেজে উঠছে লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষ্যে। তবে বছরে আর মাত্র একদিন নয়। পাকাপাকি ভাবে অলক্ষ্মীর প্রভাব কাটিয়ে এবার হয়তো শুরু হবে লক্ষ্মীর বাস। তেমনই ইঙ্গিত মিলল বেনা গ্রামে গিয়ে। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতেই গ্রামের মানুষ ফিরে আসতে পারে আবার তাঁদের ভিটে মাটিতে।
আরও পড়ুন: আজ ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, জানুন ধনদেবীকে তুষ্ট করার মন্ত্র
চিত্তররঞ্জন-নিয়ামতপুর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে বাঁ দিকে পড়ে জঙ্গলে ঘেরা একটি কাঁচা রাস্তা(এবার কংক্রীটের)। সেই পথ ধরে সামান্য এগোলেই এই বেনা গ্রাম। অন্য সময়ে সেখানে ঢুকলে গা ছমছম করাটা রীতিমতো দস্তুর। তবে ছবিটা এমন ছিল না। এক সময়ে প্রায় শ’খানেক পরিবারের বাস ছিল এই গ্রামে। পাশ দিয়েই গিয়েছে রেললাইন। গ্রাম ছেড়ে যাওয়া কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছর দশেক আগে রেললাইন লাগোয়া এলাকায় দুষ্কৃতীদের উৎপাত বাড়তে থাকে। বাসিন্দারা জানান, গ্রামে ছিল না কোন রাস্তা ছিল না গ্রামে বিদ্যুৎ না ছিল বিশুদ্ধ পানীয় জল এককথায় বলা যায় কোন যোগাযোগ ব্যবস্থাই ছিল না গ্রামের সঙ্গে শহরের তাই গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল গ্রামবাসীরা৷
এই গ্রামের পরিচয় হয়ে যায় ‘ভূতের গ্রাম’ হিসেবে। তবুও কোজাগরীর একটি রাতে ফিরে আসে সবাই গ্রামের ওই লক্ষ্মী মন্দিরে। গ্রামের লক্ষ্মী মন্দিরেই হল লক্ষ্মী পুজো। সারারাত পুজো মা লক্ষ্মীর। ভোররাতে পাত পেড়ে প্রসাদ খাওয়া। তারপর আবার ফিরে যাওয়া নিজের নিজের বাসায়।