তিনি বলেন, এই কার্জন গেট তৈরি হয়েছিল মূলত বর্ধমানের রাজা বিজয়চাঁদের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে। আর এই রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ১৯০৩ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে লর্ড কার্জন বর্ধমানে আমন্ত্রিত ছিলেন এবং তার আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে, লর্ড কার্জনকে ওয়েলকাম করার জন্যই এই কার্জন গেট তৈরি করেছিলেন বর্ধমানের রাজা বিজয়চাঁদ। যদিও কোনও কালেই এই কার্জন গেটের নাম কার্জন গেট ছিল না। কিন্তু এখনও আমজনতার কাছে এটি কার্জন গেট নামে পরিচিত। শ্যামসুন্দর বাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যখন এটি তৈরি হয়েছিল তখন নাম ছিল ‘স্টার অফ ইন্ডিয়া’। পরবর্তীকালে স্বাধীনতার পরে প্রতিষ্ঠাতার নাম অনুসারে এর নাম হয় বিজয়তোরণ।’
advertisement
লর্ড কার্জন সেই সময় বর্ধমানে আমন্ত্রিত ছিলেন কিন্তু সেই সময় তিনি আসতে পারেননি। তিনি পরের বছর ১৯০৪ সালে বর্ধমানে এসেছিলেন। আর রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে বর্ধমানে এসেছিলেন ব্রিটিশ প্রতিনিধি বার্ডেলিয়ান। এই ইতিহাস প্রসঙ্গে শ্যামসুন্দর বাবু আরও জানিয়েছেন, ‘ইতিহাস হল বর্তমান এবং অতীতের অসমাপ্ত কথোপকথন। বিভিন্ন পুরনো ঐতিহাসিক জিনিস এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম জানানোর কাজ করে ইতিহাস। ইতিহাস প্রত্যেকটা মানুষের জানার প্রয়োজন রয়েছে।’
সব মিলিয়ে বর্ধমান শহরের এই প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের আসল নাম হল বিজয়তোরণ। আর প্রথম যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন নাম ছিল স্টার অফ ইন্ডিয়া। তবে আসল নাম বিজয়তোরণ হলেও আজও লোকমুখে কার্জন গেট নামটিই বহুল পরিচিত। এখনও শহরের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই প্রাচীন ইতিহাস।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী