যখন ১৪ বছর বনবাসের পর রাম, সীতা ও লক্ষণকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যা ফিরে এসেছিলেন। মানুষ প্রদীপ জ্বালানোর মাধ্যমে তাদের রাজার প্রত্যাবর্তন উদযাপন করেছিলেন। এইভাবেই, দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর ঐতিহ্য প্রচলিত হয়ে আসছে। ভারতের দক্ষিণ অংশে মানুষ, কুখ্যাত দৈত্য নারকাসুরের উপর দেবী দুর্গার বিজয়কে উদযাপন করে। নরকা চতুর্দশীর দিনে দক্ষিণ ভারতের মানুষেরা অশুভের উপর শুভ, অন্ধকার উপর আলোর জয়জয়কারকে চিহ্নিত করতে প্রদীপ জ্বালান।
advertisement
আরও পড়ুন: এসব কী চাষ হচ্ছে বাঁকুড়ায়? নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না!
পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে কুমোর পরিবারে এখন ব্যস্ততা। সকলেই ব্যস্ত দীপাবলীর নানান প্রদীপ বানাতে। প্রদীপের পাশাপাশি দেওয়ালি পুতুলও বানাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। পারিবারিকভাবে পেশাগত কৌলিন্যকে টিকিয়ে রেখেছেন কুমোররা। কালীপুজোর আগে দেওয়ালি পুতুল, মাটির প্রদীপ বানাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: রোজ রাতে এক পেগ রেড ওয়াইন পান করা কি ঠিক? আসল তথ্য জানলে চমকে যাবেন
তবে আগের তুলনায় বিক্রি যথেষ্টই কম। বাজারের ছেয়েছে নানাবিধ এলইডি লাইটে। সম্প্রতি অতীতে যারা দশটি প্রদীপ কিনতেন তারা এখন হাতেগোনা দুটি প্রদীপ কেনেন। তবে কোনওভাবে তাদের এই ব্যবসাকেৱ টিকিয়ে রেখেছেন কুমোররা। তবে সুপ্রাচীন অতীত থেকে যে বিশ্বাসে দীপাবলি পালিত হয় তা বাঙালি সমাজে ঐতিহ্য বটে।
রঞ্জন চন্দ