কালীপুজো ও দিওয়ালির শুভেচ্ছার সঙ্গে রয়েছে মিষ্টি পাঠানোর রীতি | আর সেই মিষ্টিই যদি হয় আতসবাজির মতো তাহলে রথ দেখা আর কলা বেচার মতোই বন্দোবস্ত হয়ে যায়। পরিবেশ রক্ষার্থে আতসবাজি বন্ধের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমাদের শৈশবের সেই চরকি, তুবড়ি, কালিপটকারাও আজ হারিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই কালী পুজো ও দিওয়ালির সময় এই মিষ্টির চাহিদাও তুঙ্গে।
advertisement
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কোথায় অবস্থান করছে সিত্রাং? সকাল থেকে কলকাতার আকাশে মেঘ
হাওড়ার সালকিয়ার প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভান্ডার ব্রজনাথ গ্র্যান্ড সন্স-এর অন্যতম কর্ণধার অভিজিৎ দাস জানান, 'এখন বাজারে চরকি বা তুবড়ির চাহিদা অনেক কমে গিয়েছে, বাজারে এসেছে নতুন নতুন ধরনের আতসবাজি | এখনকার শিশু থেকে যুবক যুবতীদের মধ্যে চরকি, কালিপটকা, তুবড়ির চাহিদা একেবারেই নেই। হাতের সামনে চিনা বাজির রমরমাতে বাংলার সংস্কৃতির অনেকটাই বদল হয়েছে | আর এই ধরনের অত্যাধুনিক আতসবাজির জন্য পরিবেশ দূষণমাত্রও বেড়েছে বহুগুন। তাই আমাদের ফেলে আসা শৈশবের হারিয়ে যাওয়া আতসবাজির অনুকরণেই এবার কালীপুজো ও দিওয়ালির মিষ্টির বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
আরও পড়ুন: নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বেহালার বিজয়া সম্মিলনীতে অন্য চমক! অবাক এলাকাবাসীও
কম মিষ্টির ক্ষীর ও কাজু, বিভিন্ন ধরনের বাদামের সম্ভারে বানানো হয়েছে এই মিষ্টি। মানুষের মধ্যে এই মিষ্টির চাহিদাও চোখে পড়ার মতো | কাউকে উপহার হিসাবে বাজি মিষ্টি বা মিষ্টি বাজি পাঠালে একদিকে আতসবাজির দূষণ থেকে পরিবেশকেও রক্ষা করাও যাবে আর মনও ভরবে মিষ্টিতে বললেন সঞ্জয় রাজভর নামে এক ক্রেতা। কালীপুজো, দিওয়ালির পর ভাইফোঁটাতেও আসতে চলছে নতুন চমক দাবি দোকানের কর্ণধারের | মিষ্টিবাজি বা বাজিমিষ্টি কিনতে দোকানে ক্রেতাও সংখ্যাও বাড়ছে সময়ের সঙ্গে |