অসম, সিকিম, ত্রিপুরা, মেঘালয় সহ ইত্যাদি পাহাড়ি রাজ্যে ব্যাপক চাহিদা এই শুঁটকি মাছের। মূলত মাছকে স্বাস্থ্যকর এবং দীর্ঘ সময় ধরে খাবারযোগ্য করার জন্যই বিশেষ পদ্ধতিতে শুঁটকি মাছকে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। শুধু ব্যবসায়ী নয় এই মাছ প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে রোজগার করে পরিবারের হাল ধরছেন এলাকার কয়েক হাজার শ্রমিকরা।
বিগত দুই দশক ধরে এমনই শুঁটকি মাছের ব্যবসা করে রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের সাতটারি এলাকার শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীরা। এক শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ী অমিত চৌধুরী জানান, “দিঘা, ডায়মন্ড হারবার এবং ওড়িশা, মুম্বাই, গুজরাট ইত্যাদি ভিন রাজ্যের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে আনা হয় মাছগুলো। এরপর মাছ গুলোকে প্রক্রিয়াকরণের পর শুটকির মাছে পরিণত করা হয়। অনেকে এখন এই মাছের ব্যবসা করেন। এলাকায় শুঁটকির মাছের ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে।”
advertisement
এক শ্রমিক সুভাষ সরকার জানান, “প্রায় ৭ দিন লাগে মাছগুলোকে শুকোতে। মাছ আসার পর প্রথমে ধোয়া হয় এবং নরম হওয়ার পরে নাক ছাড়ানো হয়। এরপর বাঁশের সুশির ওপর ঢেলে রোদে শুকোতে দেওয়া হয়। দিনমজুরি কোনদিন ৫০০ তো কোনদিন হাজার টাকা হয়ে যায়।”
মূলত কৃষি ক্ষেত্র এবং আম চাষের উপর নির্ভরশীল মালদহ জেলা। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশেষ শিল্প না থাকলেও জেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম ব্যবসা করে থাকেন। তবে মাছ ব্যবসার ক্ষেত্রে জেলার ব্যবসায়ীদের এই বিকল্প পথ নতুনভাবে রোজগারের দিশা জেলার শ্রমিকদের।