এত ভাইরাল হওয়ার পরেও নিজের কাজের জীবনে এখন ভীত এই ঘটি গরম বিক্রেতা। কী কারণে সে ভীত সেই কথা জানার আগে কী ভাবে পিনাকী মন্ডল হয়ে উঠলেন ডিসকো ড্যান্সার ঘটি গরম বিক্রেতা সেই গল্প জেনে নিন।
নদীয়ার নবদ্বীপের বাসিন্দা ডিস্কো ড্যান্স ঘটি গরম বিক্রেতা ওরফে পিনাকী মন্ডল। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে তার অভিনব কায়দায় তিনি বিক্রি করে চলেছেন ঘটি গরম। ছোটবেলা থেকেই তার নাচের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিল। বিশেষত ব্রেক ডান্স করতে ভালোবাসতেন পিনাকী। বেশ কিছু সময় স্টেজ পারফর্মেন্স করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে নাচ ছেড়ে তাঁকে আসতে হয় ঘটি গরম বিক্রি করতে। বাড়িতে বৃদ্ধ মা বাবা ও ভাই বোনকে দেখার জন্য তাকে নাচ ছেড়ে সংসার বাঁচাতে বিক্রি করতে হয় ঘটি গরম।তবে আস্তে আস্তে নাচ এবং ঘটি গরম বিক্রি দুইয়ে মিলে এক হয়ে পিনাকী মন্ডল হয়ে ওঠেন, ডিস্কো ড্যান্সার ঘটি গরম বিক্রেতা।
advertisement
প্রথমদিকে তাঁর ঘটি গরম বিক্রির অভিনব কায়দা দেখে মানুষজন মোবাইলে তার ভিডিও করে রাখতেন। আস্তে আস্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ডিসকো ড্যান্সার ঘটি গরম বিক্রেতার কেরামতি। সেই থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল পিনাকি মন্ডল ওরফে ডিস্কো ড্যান্সার ঘটি গরম দাদা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এত ভাইরাল হওয়ার পরেও ডিসকোডানসার ঘটিগরম দাদা কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন খুব ভয়ে। শুনলে অবাক হলেও এটাই সত্যি। ভয় পেলে এখন আর তার কেরামতি দেখাতে পারছেন না গ্রাহকদের কাছে।
কী সের ভয় কেন তিনি কেরামতি দেখাতে পারছে না সেই বিষয়ে পিনাকী বলেন, চন্দননগর স্ট্যান্ড ঘাটে ঘটি গরম বিক্রি করছেন তিনি দীর্ঘ সাতাশ বছর ধরে। কিন্তু বর্তমান সময় অন্যান্য বিক্রেতারা তার ওপরে চাপ সৃষ্টি করছে যাতে সে এই রকম কেরামতি না দেখায়। লোকাল ১৮-র ক্যামেরা যখন তাদের কাছে পৌঁছেছিল তখন পর্যন্ত ভয়ে নিজের কেরামতি দেখাতে পিছুপা হচ্ছিলেন পিনাকী। পিনাকী আরওবলেন, সে তার কেরামতি না দেখাতে পেরে নিজে মন থেকে ভেঙে পড়েছেন।
তবে তিনি অসহায় কারণ বাকি ঘটিগরম বিক্রেতারা তার উপরে সমানে আক্রমণ করে। খরিদ্দাররা আসলে সবাইকে ছেড়ে পিনাকীর কাছেই আসেন কারণ তার অভিনব কায়দা দেখতে। সেই কারণেই বাকি গরম বিক্রেতারা তাকে আর এই কেরামতি দেখাতে দিচ্ছে না। এই বিষয়ে অন্য ঘটিগরম বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করতে গেলে কেন তারা এই রকম করছে সেই সময় তারা আরো আক্রমণ সানায় লোকাল১৮-এর ক্যামেরার উপর। এইরকম অবস্থায় ডিস্কো ড্যান্সার ঘটি গরম দাদা অসহায় হয়ে আর্জি জানাচ্ছেন যাতে তার এই বিশেষ প্রতিভা সে যেন জনগণের কাছে দেখাতে পারে।
রাহী হালদার