দিলীপ ঘোষের দাবি, ''খড়্গপুরে মাফিয়াগিরি অনেক কমে গিয়েছে। না চমকে খড়্গপুরে টিএমসি জিততে পারেনি। পুলিশরা চোর ডাকাত আটকাতে পারে না, অথচ আমাদের আটকায়।'' প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাংলোয় যায় পুলিশ। সেখানে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও।
খড়গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ এই পুরসভা এলাকার ভোটার নন। তাই নির্বাচনের সময় খড়্গপুরে তিনি থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয় প্রশাসন। এমনকী রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকার কপিও ধরিয়ে দেওয়া হয় সাংসদকে। তাঁকে এলাকা ছাড়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি নিজের বাংলোয় থাকবেন বলেই জানিয়ে দেন। তখন খড়্গপুর থানার তরফে তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সব রাস্তায় মুছে ফেলা হচ্ছে চিহ্ন, সাইনবোর্ড! কারণ জানলে চমকে উঠবেন
দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘ওদের বক্তব্য কোনও রাজনীতিক নেতা, যিনি এখানকার ভোটার নন, তিনি এখানে থাকতে পারবেন না। কিন্তু আমি বলেছি, আমি এখানকার নেতা নই, আমি এলাকার সাংসদ। এখানে আমার রেসিডেন্স আছে। তাই আমি এখানেই থাকব। খড়গপুরে এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁরা এখানকার ভোটার নয়। তবু রয়েছেন। আমি এখানে থাকব। এতে যদি মনে হয় নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হোক।''
আরও পড়ুন: ফেলা হবে স্পেস স্টেশন, এবার ভারতকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার! ট্যুইট ঘিরে তুমুল আলোড়ন
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট করাতে রাজি হয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে, সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোটে ১৪ জন ডিআইজি, ৩ জন এডিজি বা আইজি পদমর্যাদার অফিসার আছেন ২০টি জেলায় ভোটের দায়িত্বে। মোতায়েন থাকছেন মোট ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী। এর সঙ্গে রয়েছেন ১০ জন আইএএস, যাঁদের সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার করা হয়েছে। অবজার্ভার, স্পেশাল অবজার্ভার, সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার মিলিয়ে মোট ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক রয়েছেন আজকের ভোটে। পুরভোটের ফল ঘোষণা ২ মার্চ।