অস্ত্র সিএএ। লক্ষ্য উদ্বাস্তু ভোট। রবিবার রানাঘাটের অভিনন্দন সভা থেকে সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য জুড়ে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সামিল আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতির হুঁশিয়ারি, ‘উত্তরপ্রদেশে কুকুরের মত গুলি করে মেরেছি শয়তানদের ৷ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে এরাজ্যেও গুলি করব, জেলে পুরব ৷’
নদিয়ার রানাঘাট। গত লোকসভা ভোটে এই আসনটিতে পদ্ম ফুটিয়েছে বিজেপি। সেখানেই রবিবার দিলীপ ঘোষের অভিনন্দন যাত্রা। সিএএর প্রচারে মেরুকরণের অস্ত্রে শান দিলেন। নিশানা করলেন মমতাকে। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতার দুরকম নীতি। উদ্বাস্তুদের একরকম বোঝাচ্ছেন। সংখ্যালঘুদের আরেকরকম বোঝাচ্ছেন। যতই বিরোধিতা করুন, আমরা সিএএ করবই। একদিকে বিরোধিতা করছেন। সংসদে সাংসদরা ভোট দিতে যাচ্ছেন না। চাচার সঙ্গেও আছেন ভাতিজার সঙ্গেও আছেন।’
advertisement
শনিবার, রাজভবনে, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। নির্দেশ দেন ঘরে ঘরে সিএএ-র প্রচার করতে। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে হাতিয়ার করেই এ রাজ্যের উদ্বাস্তু ভোটকে টার্গেট করেছে বিজেপি। নদিয়ার রানাঘাট কেন্দ্রে এই উদ্বাস্তু ভোট বড় ফ্যাক্টর। সেই ভোট পেতেই এবার চরম হুমকি রাজ্য বিজেপি সভাপতির। বলেন, ‘এখানে এসে রেলে ভাঙচুর করলে লাঠিও মারব, গুলিও চালাব৷’
রানাঘাটে যেদিন দিলীপ ঘোষ, সে দিনই কোচবিহারে সায়ন্তন বসু। সভায় যাওয়ার পথে মাথাভাঙায় তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। ওই এলাকায় একশো চুয়াল্লিশ ধারা জারি থাকায় বিজেপি নেতার গাড়ি আটকে দেওয়া হয় বলে পুলিশের দাবি। যদিও বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই আটকানো হয় সায়ন্তন বসুকে।