দিলীপ ঘোষ ২০১৭ সাল থেকেই ওই বাংলোতে থাকেন। বন্ধু তুষারকান্তি ঘোষ তাঁকে এই বাংলো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বলেও দাবি তাঁর। যদিও, ২০২০ সালের ৩১ মার্চের পর তুষারকান্তি ঘোষ কিংবা কারও নামেই ওই ৬৭৭নং বাংলো বরাদ্দ বা অ্যালটমেন্ট হয়নি বলে একটি আরটিআই-র জবাবে জানায় রেল।
আরও পড়ুন: হলদিয়ায় জাতীয় সড়কের উপর একা দাঁড়িয়ে আড়াই বছরের শিশু! কে সে? পরিচয় সামনে আসতেই তোলপাড় এলাকায়
advertisement
গত ৪ এপ্রিল এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরীর করা একটি আরটিআই-র জবাবের মধ্য দিয়ে। তারপরই তৈরি হয় বিতর্ক! যদিও, ওই দিনই ডিআরএম কে.আর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, “আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” অবশেষে তা নেওয়া হল! খড়গপুর ডিভিশনের এস্টেট অফিস অ্যান্ড কোর্টের তরফে একটি নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০২০ সালের ৩১ মার্চের পর থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ওই বাংলো দখল করে আছেন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষ।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বরের পর থেকে এই প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটিরও আর অস্তিত্ব নেই। তা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ বিনা ভাড়ায় এবং অবৈধভাবে বাংলা দখল করে রাখার অভিযোগ কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের বিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধেই এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল রেলের তরফে। আগামী ১৭ এপ্রিল (২০২৫)-র মধ্যে এই জবরদখলের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তুষারকান্তি ঘোষকে। সেইসঙ্গে ২১ এপ্রিল বেলা ১টায় সশরীরে তাঁকে অথবা তাঁর নিযুক্ত কোনও প্রতিনিধিকে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে খড়গপুর ডিভিশনের এস্টেট অফিসারের কাছে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই নোটিশ রেলের তরফে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে সাউথ সাইড এলাকায় অবস্থিত সেই ৬৭৭নং বাংলোতে। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ‘রেল শহর’ খড়গপুরে। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “সত্যের জয় হল। অনেক বড় বড় কথা বলতেন দিলীপ ঘোষ। এবার কী বলবেন? বৈদ্যুতিক বিল সহ কোনও রকম ভাড়া না দিয়েই জবরদখল করেছিলেন এতদিন। ওঁর জন্যই বিপদে পড়তে হল জনৈক তুষারকান্তি ঘোষকে!”
শুধু বাংলো খালি করার নির্দেশ দিলে হবে না। বাংলো জবরদখল করে রাখার পেনাল্টি চার্জ আদায় করতে হবে। জবরদখল জরিমানা নিতে হবে। দক্ষিণ পূর্ব রেলকে জানাবে তৃণমূল। এমনই দাবি করেছেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।