মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, টাটাকে আমরা তাড়াইনি, সিপিআইএম তাড়িয়েছে, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''এখন বললে কী হবে। সে তো ইতিহাস। সবাই জানে। ফ্যাক্টরি তাড়ানো সরকার, ফ্যাক্টরি তাড়ানো নেত্রী উনি। তার পরিণাম হচ্ছে লক্ষ লক্ষ বেকার বাংলা ছেড়ে বাইরে চলে যাচ্ছে।''
আরও পড়ুন: মালবাজার থেকে পর্যটন, পঞ্চায়েতের আগেই উত্তরবঙ্গে একের পর এক মাস্টারস্ট্রোক মমতার
advertisement
উত্তরবঙ্গে ৯ কোটি টাকা খরচ করে বিজয়া সম্মিলনী আর অন্যদিকে চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করছে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''তাতে কিছু যায় আসে না। এই সরকার খেলা, মেলা, মোচ্ছব খাইয়ে পড়িয়ে রাখতে হবে। ব্যক্তিগত রিসর্টকে রিনোভেট করা হয়েছে সরকারি টাকায়। কর্মীদের খুশি করতে হবে এবং মালদহ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত সরকারি বাস লাগিয়ে পুলিশকে দিয়ে জোর করে তুলে আনা হচ্ছে, খাওয়া দাওয়া মোচ্ছবে কোটি কোটি টাকা দিয়ে। চাকরি নাই, পেনশন নাই লোকজন রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে। স্থায়ীকরণ হচ্ছে না বলে ট্রান্সপোর্টের কর্মচারীরা বিক্ষোভ করছেন, ডান্ডা খাচ্ছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের কর্মীদের খুশি রাখার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: বিজেপি ছাড়ছেন? সুকান্তকে বেনজির আক্রমণ শানিয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ
সৌমিত্র খাঁ-র পর্যবেক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন দিলীপ ঘোষ বলেন, সংগঠন যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তারাই দেখার জন্য আছেন। তারাই দেখবেন। এতে কী সমস্যা আছে!'' দিলীপকে প্রশ্ন করা হয়, একসময় আপনি বলেছিলেন সভাপতি অনভিজ্ঞ, আজ সৌমিত্র খাঁ বলছেন, দিলীপ ও শুভেন্দু যোগ্য। প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, ''কে কী বলছে, তাতে কিছু যায় আসে না। দল দেখার জন্য লোক আছে।''
সৌগত রায় বলেছেন, ''আমি ব্যথিত দলের দুর্নীতির জন্য'', এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''এটা বুঝতে আশি বছর লেগে গেল ব্যথিত হতে। ব্যথিত হলে ছেড়ে দিন, কেন চোরেদের সঙ্গে থাকছেন। যদি মান সম্মান থাকে ছেড়ে আসুন। কারণ সবার কামাবার খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। কেউ ছেড়ে যাবে না। আপনাদের মন রাখার জন্য মাঝে মাঝে এরকম উক্তি করেন।''
তৃণমূল তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''কে দিয়েছিল নাম বলুন? ওই রকম ফালতু কথা বলার জন্য তৃণমূলে প্রচুর লোক আছে। ভিখারিদের লোকে দেয়। ভদ্র লোকদের কেউ টাকা দিতে চায় না। ওখানে কত টাকা নিয়ে উনি আছেন বলুন। বিজেপি ফালতু কিনতে চায় না। পায়ে ধরে ছিল সবাই আসার জন্য তখন। আমি সভাপতি ছিলাম, দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি ঝগড়া করেছিলাম তাদের যেন না নেওয়া হয়।''