এর জন্য আলাদা করে পরিদর্শনের প্রয়োজনীয়তা আর থাকছে না। কার্যত নজির গড়েছে খড়দার এই বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। আগামী ২ রা এপ্রিল এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা। জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম কে ব্যবহার করি এই গ্রামকে পুরোপুরি ডিজিটাল করে তোলা হচ্ছে। এই বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে জনসংখ্যা ১৫১৮৪ জন। প্রত্যেকের খুঁটিনাটি তথ্য পাওয়া যাবে এই কম্পিউটারের মাধ্যমে। অর্থাৎ নাম ঠিকানার পাশাপাশি কে কি করেন? কত আয়? কতজন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন? কতজন প্রকল্পের সুবিধা পাননি? কোথায় কোন কাজে টেন্ডার হয়েছে? কোথায় কাজ বাকি? কোথায় সরকারি জমি পড়ে রয়েছে ?কোথায় কত জলজমি রয়েছে? নিকাশি ব্যবস্থা কোথায় কি রকম ?এই সমস্ত তথ্য এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে।
advertisement
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুর নাহার বিবি বলেন "২০১৮ সাল থেকেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। আমরা চেয়েছি একটি স্বচ্ছ গ্রাম পঞ্চায়েত। পাশাপাশি এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা যে কোন তথ্য সহজেই পেয়ে যাব।"অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ রউফ আলী মন্ডল বলেন "এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি তো আটকানোই যাবে পঞ্চায়েতে।"২০১৮ সাল থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন অন্যতম নির্মাণ সহায়ক ধীমান পাল। এই প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন "সরকারি স্তরে যে কোন প্রকল্প হোক বা গ্রাম পঞ্চায়েত সম্পর্কে যেকোনো তথ্যই এক ক্লিকেই আমাদের কাছে চলে আসবে। প্রতিবছর তার আপডেট ও করা হবে। ২০১৮ সাল থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সমীক্ষা করে এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: শুধু জামতারা নয়, এই নতুন গ্যাং থেকেও সাবধান! এক ফোনেই উধাও হবে লাখ লাখ টাকা! জানুন
রাজ্যে বর্তমানে রয়েছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। রাজ্য একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি বিভিন্ন ক্ষেত্রেই পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির অভিযোগ ওঠে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার যে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি অনেকটাই ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহল। তবে এই বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এই প্রকল্প বর্তমানে চালু হলেও আরো কয়েকটি পঞ্চায়েতে এই প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা হলেও পরে নানান কারণে থমকে গেছে। সবমিলিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার এই গ্রাম পঞ্চায়েত রাজ্যের অন্যতম ডিজিটাল গ্রাম পঞ্চায়েতের পথ দেখাতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়