দিঘা বাঙালির আবেগের জায়গা। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সব ঋতুতেই দিঘা বাঙালি পর্যটকের প্রথম পছন্দের জায়গা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাই গনগনে রোদের তাপে পুড়ছে। তীব্র তাপপ্রবাহে স্বস্তি নেই মানুষের। আর এই গরমে স্বস্তি খুঁজে পেতে বহু সংখ্যক পর্যটক পাড়ি দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত নগরী দিঘায়।
বর্তমানে সময় যত এগোচ্ছে ততই দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন উৎসব বা ছুটির দিনগুলিতে দিঘায় পর্যটকের ঢল নামছে। গরমেও দিঘায় সেই ভিড় চোখে পড়ার মতো। বহু মানুষ গরমে স্বস্তি পেতে পাড়ি জমিয়েছে দিঘায়। ফলে শনি রবিবার ছুটির দিন বাদেও সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলিতে সমুদ্র স্নানে পর্যটকের ভিড়।
advertisement
দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জায়গার তুলনায় দিঘার তাপমাত্রা সামান্য কম। ফলে তীব্র গরমে ঘরবন্দি না থেকে দিঘায় স্বস্তি খুঁজে পেতে ভিড় করেছে বঙ্গবাসী। দুপুরের সময় বহু সংখ্যক পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে মেতে উঠতে দেখা যায়। তীব্র গরমের মধ্যে দিঘায় এই ভিড় মুখে হাসি ফুটিয়েছে হোটেল ব্যবসায়ী থেকে দিঘার অন্যান্য দোকানদারদের।
দিঘা শংকরপুর হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, গরমের কারণে স্কুলে স্কুলে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জায়গার তুলনায় দিঘার তাপমাত্রা সামান্য কম হওয়ায় স্বস্তি পেতে পর্যটকেরা ভিড় জমিয়েছে দিঘায়। শনি রবিবারের পাশাপাশি অন্যান্য দিনেও বহু সংখ্যক পর্যটক আসছে দিঘায়। এরপরে তীব্র গরমে দিঘায় পরিবেশ জমজমাট। হোটেলগুলিতে বুকিংও ভাল হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সময়ে দিঘায় রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞে দিঘার ব্র্যান্ড ভ্যালু এখন বিশ্বমানের। ফলে প্রতিনিয়ত দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। এই তীব্র গরমেও তার অন্যথা হল না। অন্যদিকে দিঘায় আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করতে একাধিক পদক্ষেপ অবলম্বন করেছে প্রশাসন। পর্যটকদের হোটেল বুকিং-এর সময় বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। মূলত দিঘাকে অপরাধমুক্ত রাখতেই এই পদক্ষেপ।
সৈকত শী