তিন পড়ুয়ার বক্তব্য টিভিতে মিছিল, সভা, বড় বড় রাস্তাঘাট দেখে তাদের আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছিল। অবশেষে বাড়িতে কিছু না বলে তারা নিজেদের পরিকল্পনা মত স্কুল থেকে সোজা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। ঘটনাটির শুরু মঙ্গলবার সকালে। সেদিন প্রত্যেকেই যথারীতি স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন শিক্ষকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তিন ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের জানানোর পরও অভিভাবকরা তেমন গুরুত্ব দেননি। স্কুল ছুটির আগেই তিনজন জামা বদলে স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়ে এবং বড় রাস্তা থেকে কলকাতাগামী একটি বাসে উঠে পড়ে। তাদের প্রত্যেকের কাছেই টিফিন খরচের কিছু টাকা ছিল। সেই টাকাতেই একমুখো বাসভাড়া দেয় তারা।
advertisement
আরও পড়ুন : ডামডিমে দাঁতালের তাণ্ডব! হাতি তাড়াতে গিয়ে চাঞ্চল্য, বনকর্মীদের ছররা গুলিতে একসঙ্গে আহত ৯ গ্রামবাসী
রাতে কলকাতায় পৌঁছে কোনও পরিকল্পনা না থাকায় ফুটপাতেই রাত কাটায় তিন কিশোর। অল্প যে টাকা ছিল, তা দিয়ে তারা কিনে খায় এগরোল। বাইরে থাকার প্রথম রাতেই বাস্তবের কলকাতা তাদের সামনে কঠিনভাবে ধরা দেয়। অন্যদিকে, বাড়ি না ফেরায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে তিন পরিবারে। অন্ধকার নামলেও ছেলেদের খোঁজ না মেলায় প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব এমনকি আশপাশের বাড়িগুলিতেও খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কোনও সূত্র না পেয়ে রাত প্রায় ১২টা নাগাদ তিন কিশোরের পরিবার দিঘা মোহনা কোস্টাল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। নাবালক হওয়ায় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অপহরণ মামলা রুজু করে তদন্তে নামে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্য়দিকে বুধবার সকালে তিনজনের হাতে থাকা টাকা একেবারে ফুরিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে এক কিশোর ফোন করে মাকে জানায় তারা কলকাতায় আছে। তবে সঠিক অবস্থান জানাতে চায়নি। এরপরেই পরিবারের সদস্যরা দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে জানতে পারে, ফোনটি নিউটাউন এলাকার। সঙ্গে সঙ্গে দিঘা মোহনা থানার একটি দল কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় এবং স্থানীয় নিউটাউন থানার সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে একটি হোটেল থেকে তিন কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের দিঘায় ফিরিয়ে আনা হয়। পরিবারকে তারা জানায়, কলকাতায় এসে কোনও ছোটখাটো কাজ করবে এমন একটি পরিকল্পনাও ছিল তাদের মনে।






