রামনগর আর এস ময়দানে শুরু হয়েছে এই ক্রিকেট ফেস্টিভ্যাল। পুরোনো গ্যালারি নতুন করে সাজান হয়েছে। সকাল থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা চলছে টানটান খেলা। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম—এই তিন জেলার মোট আটটি দল অংশ নিয়েছে। প্রতিটি দলের উৎসাহ চোখে পড়ার মত। উপকূলের এলাকার ক্রিকেটপ্রেমীরা ভিউ জমিয়েছেন খেলার মাঠে।
advertisement
টুর্নামেন্টের মোট প্রাইজ মানি এক লক্ষ টাকা। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৬০ হাজার টাকা। রানার্স আপ দল পাবে ৪০ হাজার টাকা। খেলোয়াড়দের জন্য থাকছে বিশেষ পুরস্কার। শীতের শুরুতে এমন ক্রিকেট ফেস্টিভালে খুশি উপকূলীয় এলাকার ক্রিকেটপ্রেমীরা। খেলোয়াড়দের মধ্যেও বাড়তি উত্সাহ। অনুষ্ঠান সভাপতি নিতাই সারের বলেন, “এটা শুধু টুর্নামেন্ট নয়, উপকূল অঞ্চলের মানুষের জন্য এক বড় সামাজিক উৎসব। এখন মাঠে যে উন্মাদনা দেখছি, তাতে বুঝতে পারছি মানুষ কতটা আনন্দ উপভোগ করছেন। শুধু স্থানীয় মানুষই নয়, দিঘায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরাও গাড়ি থামিয়ে খেলা দেখছেন, দলগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছেন, ছবি তুলছেন—এটাই আমাদের সাফল্য। আমরা চাই ভবিষ্যতে এই উৎসব আরও বড় হোক, আরও বেশি দল অংশ নিক, আর উপকূল এলাকা ক্রীড়ার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হোক।”
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর ফুল এখন পূর্ব মেদিনীপুরে! পলি গ্রিন হাউসের মাধ্যমে জারবেরা চাষে লাখ টাকা আয়
শীতের শুরুতেই এমন জমজমাট ক্রিকেট ফেস্টিভ্যাল দিঘায় পর্যটকদের মন যেন আরও বেশি আকর্ষণ করছে। এখন দিঘার হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বাজার, দোকান—সব জায়গায় শুধু ক্রিকেট ফেস্টিভ্যালের আলোচনা। কোথাও কেউ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলছেন, কেউ ম্যাচের স্কোর জানতে চাইছেন, কেউ আবার কোন দুটি দলের খেলা তা নিয়ে আগাম পরিকল্পনা করছেন। পর্যটকরাও বলছেন, দিঘা ঘুরতে আসার সময় এমন খেলা উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই বাড়তি আনন্দের।





