আজ চন্দ্রগ্রহণ। বুধবার রাত ৮:৩৫ মিনিটে আরও একবার প্লাবন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জল বাড়তে পারে পাঁচ ফুট পর্যন্ত। এমনকী আগামীকালও জল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নতুন করে প্লাবনের জল ঢুকতে পারে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে। বৃহস্পতিবার ভরা জোয়ারে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বারবার মানুষকে জলে না নামার আবেদন করেছেন। জল বাড়লে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ রাখার কথাও বলেছেন তিনি। উপকূলবর্তী গ্রামের মানুষদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিন। সেইসঙ্গে বলেছেন, জলস্তর কিছুটা নামলেও এখনই যেন কেউ ত্রাণশিবির ছেড়ে বাড়ি না ফেরেন! প্রায় এক কোটি মানুষের ইয়াসে বড়সড় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুদিন ধরে ঝড়-বৃষ্টিতে রাজ্যে ১৩৪টি নদী বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার রাত নটা নাগাদ প্লাবন এলে পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে। ফলে জেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
advertisement
একদিকে আজ পূর্ণিমা। তার উপর চন্দ্রগ্রহণ। দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হওয়ার কথা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। চলতি বছর এটিই প্রথম ও শেষ ‘ব্লাড মুন’ হবে। রাত ন’টায় আবারও ভরা কোটাল। ফলে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়তে পারে আবারও। এমনিতেই দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনি কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, সাগরদ্বীপ, নামখানা, বকখালি সহ বহু এলাকায় উপকূলবর্তী গ্রামগুলি জলে ভাসছে। এর পর রাতের দিকে নতুন করে জল বাড়লে পরিস্থিতি যে কী হবে তা ভেবেই আঁতকে উঠছেন অনেকে।