দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো একের পর এক পুজোর শেষে মরসুমের শেষ পুজোতে প্রতিমা শিল্পীদের ভালই লাভ হবে বলে আশাবাদী তারা। তবে প্রতিমার দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে। কার্তিক প্রতিমার বৈচিত্র্য এবার নজর কাড়ছে সবচেয়ে বেশি। কার্তিকের সাধারণ রূপ থেকে বেরিয়ে এসেছে বহু অভিনব নামের প্রতিমা। ‘বাবু কার্তিক’, ‘জমিদার কার্তিক’, ‘পাগড়ী কার্তিক’ ও ‘নায়ক কার্তিক’। প্রতিটি প্রতিমার মুখভঙ্গি, পোশাক, গহনা এবং রঙের ব্যবহারে রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য। কারিগররা জানিয়েছেন, পর্যটকের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী তারা প্রতিমার নকশা বদলে থাকেন। ফলে প্রতিমার গায়ে উঠে আসে নতুনত্বের ছাপ।
advertisement
আরও পড়ুন : ক্রিকেটে দক্ষ ছেলের এশিয়া কাপ খেলার কথা ছিল, দুর্ঘটনা কেড়েছে সব! সন্তানের নামে পার্ক গড়লেন বাবা
কেউ আবার সংগ্রহ করেন বিশেষ ডিজাইনের কার্তিক, যেগুলি ঘরের শোভা বাড়ায়। অন্যদিকে ভক্তিমূলক মানসিকতার মানুষ কেনেন পুজো বা শুভকাজের উদ্দেশ্যে। ফলে প্রতিমার ব্যবহারিক বৈচিত্র্যও বাড়ছে। কার্তিক পুজোর আগে দিঘা ঘুরতে আসা পর্যটকদের ভিড়ও এই বাজারকে আরও জমজমাট করে তুলেছে। ছুটি কাটিয়ে ফেরার পথে বহু পর্যটক গাড়ি থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছেন ঠিকরা মোড়ে। কেউ প্রতিমা হাতে তুলে দেখে যাচ্ছেন, কেউ ছবি তুলছেন, আবার অনেকে ভক্তির সুরে প্রণাম জানাচ্ছেন প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে। স্থানীয়দের মতে, বছর কয়েক ধরে কার্তিক প্রতিমার বাজার এই জায়গার নতুন আকর্ষণ তৈরি করেছে। বিশেষ করে উইকএন্ডে পর্যটকের ঢল নামলে প্রতিমা বিক্রিও বেড়ে যায় দ্বিগুণ গুণ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুধু রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে প্রতিমা দেখা নয়, অনেকেই স্মারক হিসেবে ছোট কার্তিক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ি, যা এই বাজারের ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। বড় সাইজের কার্তিক প্রতিমার দাম ১২০০ টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মাঝারি সাইজের ক্ষেত্রে দাম পড়ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে, যা পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। আর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোট প্রতিমা। যার দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। মধ্যবিত্তদের নাগালের মধ্যে কেনা যায় বলে এসব ছোট কার্তিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারিগরদের বক্তব্য, প্রতিমার রঙ, সাজসজ্জা ও উপকরণের দাম বাড়ায় সামান্য দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তবুও পর্যটকদের আগ্রহ দেখে তারা আশাবাদী, এই বছর কার্তিক পুজোয় ভালই বিক্রি হবে।





