ফলে পর্যটকেরা আগেভাগেই জেনে নিতে পারবেন কোন হোটেলে কত ভাড়া, কী ধরনের রুম রয়েছে এবং কোনটা তাদের পছন্দের উপযোগী। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত শহরে দিঘা বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা। এই সম্মেলনে শতাধিক হোটেল মালিক ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও হোটেল পরিষেবার মানোন্নয়ন। সম্মেলনে এই গাইড বুক প্রকাশের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল বলে মনে করছেন অনেকে। যেখানে পর্যটকদের হোটেল ভাড়া নিয়ে আর প্রতারিত হতে হবে না।
advertisement
বইয়ে দিঘার প্রায় ২০০ হোটেলের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে। তাতে প্রতিটি হোটেলের সর্বোচ্চ রুমের ভাড়া উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে পর্যটকেরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে আসতে পারেন। এই বইতে শুধুমাত্র হোটেলের ভাড়াই নয়, দিঘা ও তার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থানগুলির বিবরণও দেওয়া হয়েছে। ফলে একজন পর্যটক খুব সহজেই জানতে পারবেন কোথায় কোথায় ঘোরা যেতে পারে এবং কীভাবে পৌঁছন যাবে।
বইটির দাম রাখা হয়েছে ১০০ টাকা, যা দিঘা ও কলকাতার বুকস্টল, হোটেল কাউন্টার ও কিছু নির্দিষ্ট দোকানে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সংগঠন। এই উদ্যোগের ফলে পর্যটকদের মধ্যে স্বচ্ছতা যেমন বাড়বে, তেমনই হোটেল মালিকদেরও বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে নির্ধারিত ভাড়ার সীমা বজায় রাখার। দিঘার পর্যটন শিল্পে স্বচ্ছতা আনতে ও পর্যটকদের বিশ্বাস অর্জনে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে এক প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।
হোটেল ভাড়া সংক্রান্ত পূর্বের জটিলতা ও অভিযোগ এবার অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ‘টুরিস্ট গাইড বুক’ পর্যটকদের ভরসার হাতিয়ার হয়ে উঠবে। যদি এই বইয়ে দেওয়া তথ্য বাস্তবে মেনে চলা হয় এবং নিয়মিত তত্বাবধান করা হয়, তবে দিঘা হয়ে উঠতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটক-বান্ধব গন্তব্য।
মদন মাইতি