শুক্রবার দিঘার মৎস্যজীবী এবং ট্রলার মালিকদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকে বসেছিল দিঘার ফিশারম্যান ফ্রি স্টেটাস অ্যাসোসিয়েশন। এই বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব কর, সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস, ভারত সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অতনু দাস, পাপরূপ কোম্পানির কো-অর্ডিনেটর শৈবাল গাঙ্গুলি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন শংকরপুর, কাকদ্বীপ, ওড়িশা, পেটুয়া এবং অন্যান্য এলাকার প্রায় ৫০ জন মৎস্যজীবী।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বড় আকর্ষণ! দুর্গাপুজোয় দিঘায় এ বার কেদারনাথ মন্দির দর্শনের সুযোগ!
এদিন বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠছিল, যে জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হয় তাতে মাছের প্রজনন নষ্ট হচ্ছে। ধানি মাছ, ডিম-সহ ইলিশ মাছ এবং খোকা ইলিশ জালের মধ্যে আটকা পড়ছিল। তার ফলে খোকা ইলিশ নিধন ও মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছিল। তাই এদিন বৈঠকে মূলত ডায়মন্ড নেটের পরিবর্তে স্কোয়ার নেট ব্যবহারের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত ট্রলার মালিকের এই জাল ব্যবহার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিরাট চেহারা! সাতসকালে দিঘায় ধরা পড়ল ‘জায়ান্ট’…! সৈকত শহরে শোরগোল
সংস্থার সভাপতি প্রণব কর বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে স্কোয়ার নেট ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে ছোট মাছ তাতে ধরা পড়ছে না। তারা সমুদ্রেই থেকে যাচ্ছে এবং বড় হতে পারছে। ইতিমধ্যে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন জায়গায় এই নেটের ব্যবহার চালু হয়ে গিয়েছে। সারা দেশেই যদি এই স্কোয়ার নেট জাল ব্যবহার করা হয় তাহলে একদিকে সমুদ্রের পরিবেশ যেমন বজায় থাকবে তেমনি ছোট ধানি মাছ যেভাবে নিধন হচ্ছিল তা বন্ধ হবে। ফলে ছোট মাছগুলি রক্ষা পাবে এবং পরবর্তীকালে এই ছোট মাছগুলি বড় হয়ে আবার মাছ শিকারের ক্ষেত্রে অনেকটা কার্যকরী হবে।
সংস্থার সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানান, সংগঠন এই নেট চালু করার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের মনে হয় মৎস্যজীবীরাও পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আগামী দিনে এই নেট ব্যবহারের সুফল বুঝে তা গ্রহণ করবেন।