তেমনই দিদির দূত হিসেবে কাটোয়ার চূড়পুনি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেখানে ঘটলো এক অন্য রকম ঘটনা। রাজ্য সরকার শিক্ষা খাতে প্রচুর টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কতটা হচ্ছে? মনের মধ্যে ঘুরতে থাকা সেই কৌতূহল কিছুটা মেটানোও ছিল স্কুলে যাওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য।
পড়ুয়ারা রিডিং পড়তে পারে তো? প্রধান শিক্ষকের কাছে এই প্রশ্নটা করেই ফেললেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি। প্রধান শিক্ষক কৌতূহল মেটাতে মন্ত্রীকে নিয়ে যান পড়ুয়াদের মাঝে। পড়ুয়ারা মন্ত্রীর জিজ্ঞাসা জানার পরেই পাঠ্যবই থেকে মন্ত্রীকে রিডিং পড়ে শোনায়। বলা ভালো রিডিং পড়ার ধুম পড়ে যায়। খুশি হয় মন্ত্রী। পড়ুয়াদের চকোলেট খাওয়াতে বলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: পরপর ৩ জন, মালদহের যুবকদের বীভৎস পরিণতি মিজোরামে! বাড়িতে এল নিথর দেহ
স্কুলে ড্রপ আউট রুখতে প্রধান শিক্ষককে পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, স্কুলে কেউ না এলে সরাসরি অভিভাবকেই ফোন করবেন। স্কুল থেকে অভিভাবকরা ফোন পেলে তাঁরাও বিষয়টি ভাববেন। তাতে ড্রপ আউট কমবে। মন্ত্রী আরও বলেন, গত বাজেটে রাজ্য সরকার শিক্ষা খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। তাই স্কুলে পড়ুয়াদের ভালোভাবে পড়াতে হবে। বেসরকারি স্কুল থাকলেও সরকারি স্কুলে পড়াশুনা ভালো ভাবে করাতে হবে। তিন ছাত্রীর কাছ থেকে রিডিং শুনে মন্ত্রী বলেন, আমি দিদির বার্তাবাহক হিসাবে এসেছি। তোমাদের যদি কোনও অসুবিধা থাকে আমাকে বলতে পার। মন্ত্রীর এমন কথায় খুশি স্কুলের পড়ুয়া শিক্ষক সকলেই।
আরও পড়ুন: 'আমি ওর জায়গায় হলে মানহানির মামলা করতাম,' হিরণকে কটাক্ষ অভিষেকের
কাটোয়া ১ ব্লকের কোশিগ্রাম পঞ্চায়েতের চুড়পুনি গ্রামে দিদির দূত হয়ে যান মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ। ওই অঞ্চলটি কেতুগ্রাম বিধানসভার মধ্যে পড়ে। স্কুলে কিছুক্ষন কাটানোর পাশাপাশি এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন।