ঘটনাটি বলাগড়ের বাকুলিয়া ধোবাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের। গত রবিবার থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত এখনও পর্যন্ত ৩২ জন।দু’জনের মৃত্যু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা হাসপাতালে।মৃতদের নাম মাতাল টুডু(৫০) ও গুনি কিস্কু(৬০)।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্য দফতর থেকে পানীয় জলের টিউবয়েল গুলি খুলে ফেলা হয়েছে। গ্রামের দুটি পুকুর রয়েছে সেখানে ব্যানার ঝুলিয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে গ্রামবাসীদের।
জলের ট্যাঙ্ক দিয়ে পানীয় জলের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। মৃতদের পরিবার ও গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন,কয়েকদিন ধরে পেট খারাপ বমি হচ্ছিল। কী থেকে হচ্ছে তা প্রথমে বুঝতে পারেনি পরিবার। কালনা হাসপাতালে অনেকেই ভর্তি হন। সেখানে দু’জনের মৃত্যু হয়। আশা কর্মীদের থেকে খবর পায় পঞ্চায়েত।
বাকুলিয়ার প্রধান গণেশ মান্ডি বলেন, ডায়রিয়া হয়েছে গ্রামে জানতে পেরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পানীয় জলের কল থেকে এই ডায়রিয়া ছড়িয়েছে। কলগুলোকে খুলে ফেলা দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে। পুকুরের জল ব্যবহার করতেও নিষেধ করা হয়েছে। বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
কালনা হাসপাতলে আক্রান্তদের ভর্তি করা হয়েছিল সেখান থেকে কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে তাদের আবার দুজনের উপসর্গ দেখা দেয়। তাদের আবার জিরাট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে।আশা কর্মী এএনএম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে রয়েছেন। হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলিক কর জানিয়েছেন, আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। গতকাল বিএমওএইচ ব্লক স্বাস্থ্য দফতর থেকে টিম নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি টিম যাবে। জল থেকে না কোনও খাবার থেকে সেটা দেখা হচ্ছে।
রাহী হালদার