বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো দোরগোড়ায়। হাতে বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। পুজো পুজো গন্ধ বাংলার আকাশে বাতাসে, অলিতেগলিতে। চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। ডায়মন্ড হারবারের বারদ্রোণের মণ্ডলবাড়িতেও চলছে প্রস্তুতি।জমিদারি প্রথা আর নেই, কিন্তু জমিদার বাড়ির পুজোতে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না পরিবার। জমিদারি না থাকলেও রয়ে গিয়েছে জমিদারের বৈঠকখানা, ঘরদালান সহ আরও অনেককিছু। সবই আজ ইতিহাস।
advertisement
১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে জমিদার গোলকচন্দ্র মণ্ডলের জীবদ্দশায় মণ্ডলবাড়িতে শুরু হয় উমার আরাধনা। প্রথম থেকেই মণ্ডলবাড়িতে তৈরি হয় একচালা প্রতিমা। আগে মাটির সাজের দেবী দুর্গার আরাধনা হত। সাতের দশক থেকে প্রতিমার ডাকের সাজ শুরু হয়।
জমিদার আমলে সন্ধিপুজোয় হত গানফায়ার। বর্তমানে তা আর হয় না। অতীতে মণ্ডল পরিবার ছিল পুরোমাত্রায় ব্যবসায়ী। ধান, চাল, নুন ও সাবানের ব্যবসায় ক্রমেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল পরিবারটি। এমন কথা জানিয়েছেন মণ্ডল পরিবারের বর্তমান সদস্য নচিকেতা মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, ব্যবসার মুনাফার টাকায় একের পর এক জমি কিনেছিলেন বংশধরেরা। পার্শ্ববর্তী সরবেড়িয়া, ঘটকপুর, বাজারবেড়িয়া, তালডাঙা, লালবাটি, বদরতলা, রামচন্দ্রপুর, কালীনগর, বাহাদুরপুর গ্রামে প্রচুর ভূসম্পত্তির মালিক ছিল মণ্ডল পরিবার।
আরও পড়ুন : আগাছায় ঢেকেছে প্রাচীন গরিমা, বিশ্বকর্মা পুজো এলেই ভারাক্রান্ত মনে ভিজে যায় চোখের কোণ
ডায়মন্ড হারবারের গণ্ডি পেরিয়ে লাট অঞ্চলের ছয়ের ঘেরি, এগারোর ঘেরি, পিঁপড়েখালি-সহ বহু জায়গায় বিস্তার লাভ করে তাঁদের জমিদারি। সে সময় পালকি চেপে লাট অঞ্চলে জমিদারি দেখাশোনা করতে যেতেন তাঁরা। জমিদারি আমলে অনেক প্রজাই আসতেন এখানে। এখনও অনেকেই আসেন। সকলকে নিয়ে এখন হয় মিলন উৎসব।