সূত্রের খবর, ঢোলাহাটে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে শৌচালয়ের মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষক স্থানীয় মাদ্রাসার অস্থায়ী শিক্ষক।
আরও পড়ুন- বয়স ৯১ তাতে কী হয়েছে! এই বয়সেও গ্রামের মানুষদের পাশে গৌরি দেবী
এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ জুলাই। নির্যাতিতার পরিবার জানায়, স্কুলের শৌচালয়ে গিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। অভিযোগ, তাকে সেখানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন এক পার্শ্ব শিক্ষক। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীকে শৌচালয়ের ভেতরেই আটকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান অভিযুক্ত শিক্ষক।
advertisement
এমনকী, এই ঘটনা নিয়ে বাইরে মুখ না খোলার জন্য নির্যাতিতাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ ছাত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবী, শৌচালয়ের দরজার বাইরে তালা ঝোলানো থাকায় অন্যান্য পড়ুয়াদের সন্দেহ হয়।
এর পরই শিক্ষক ও পড়ুয়াদের সাহায্যে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে সমস্ত কথা পরিবারকে জানায়। প্রধান শিক্ষকের কাছে নাবালিকার পরিবার অভিযোগ করে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা থানায় গিয়ে কোনও অভিযোগ না দায়ের করেন। ওই নাবালিকা ছাত্রীর মায়ের কথায়, “আমার মেয়ে শৌচালয়ে গিয়েছিল। তখন ও শৌচালয়ের মধ্যে ঢুকেই ধর্ষণ করে। স্কুলের আমার মেয়ের এক বান্ধবী আমাকে খবর দেয়, যে ওকে তালাবন্ধ করে রেখেছে।”
প্রথমে ভয় পেলেও রবিবার সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে ধৃতকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। কাকদ্বীপ হাসপাতালে নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে কাকদ্বীপ মহকুমার আদালতে পেশ করলে বিচারপতি অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
নবাব মল্লিক