মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের অদূরে দোহালিয়া কালী মন্দির রহস্যে মোড়া। কথিত আছে, প্রায় এক হাজার বছর পূর্বে রাজা লক্ষণ সেন, বল্লাল সেনের আমলে দোহালিয়া কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তদানীন্তন সময়ে এলাকাটি ছিল জঙ্গলে ঘেরা। পরবর্তীতে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে।
আরও পড়ুনঃ ২০ টাকায় শুরু লক্ষ্মীপুজো! চার দশক আগে বাবুইজোড়ের বারোয়ারি পুজোর সূচনা কীভাবে? জানুন সেই কাহিনী
advertisement
লোকমুখে প্রচলিত, রাজা লক্ষণ সেন, বল্লাল সেনের সময় কোনও এক পরিব্রাজক সন্ন্যাসী নাগাল্যান্ড থেকে নদীপথে যাওয়ার সময় কান্দির দোহালিয়া এলাকায় বসে তপস্যা করছিলেন। সেই সময় জঙ্গল এলাকার বিভিন্ন জীবজন্তু তপস্যা ভঙ্গ করার চেষ্টা করে। অবশেষে যখন পরিব্রাজক ওই সন্ন্যাসীর তপস্যা ভাঙে, তখন তিনি সামনে ব্যাঘ্র আকৃতির দক্ষিণাকালীর শিলামূর্তি দেখতে পান। তারপর থেকেই ওখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দোহালিয়া দক্ষিণাকালী হিসেবে পুজো শুরু হয়।
সারা বছর নিত্যসেবার মাধ্যমে পুজো হলেও বছরের বিশেষ কিছু দিনে দোহালিয়া দক্ষিণা কালীমাকে বিশেষভাবে পুজো করা হয়। লোকমুখে আরও শোনা যায়, কোনও এক পরিব্রাজক সন্ন্যাসী একদিন মন্দিরের পাশের কানা ময়ূরাক্ষী নদী থেকে স্নান করে ফেরার সময় অন্ধ হয়ে যান। অন্ধ অবস্থায় তিনি ফের তপস্যা শুরু করেন। দীর্ঘদিন অন্ধ অবস্থায় তপস্যা করার পর দক্ষিণাকালীর দর্শন পান এবং তাঁর অন্ধত্ব নাশ হয়। তখন থেকে এখনও পর্যন্ত ওই পুকুরে কোনও দৃষ্টিহীন যদি স্নান করে দক্ষিণাকালীর পুজো করেন, তাহলে তাঁর অন্ধত্ব নাশ হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুর্গাপুজোর পর শুক্লা চতুর্দশীর দিন মন্দিরে বিশেষ পুজোপাঠ, হোম-যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। এই দিনটিকে আর্বিভাব তিথি হিসেবে ধরা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মা দক্ষিণাকালীর আর্বিভাব তিথি উপলক্ষ্যে চলছে বিশেষ পুজোপাঠ, বসেছে মেলা। সকাল থেকেই মন্দিরে ভক্তদের ভিড় ছিল।