কালীপুজোর দিন তারাপীঠে ভক্তদের ঢল নেমেছে। সিদ্ধপীঠে মায়ের পুজো দিয়ে মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার আশায় লাখো মানুষের সমাগম। সারা বছর ভক্তরা এই সিদ্ধপীঠে ভিড় করেন। তবে কালীপুজোর দিনের তাত্পর্য ও মাহাত্ম্য একেবারে আলাদা।
এদিন ভোরে মা-কে স্নানের পর দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজানো হয়। চুনরি পরিয়ে সিঙ্গারবেশে সাজিয়ে তোলা হয় মা-কে। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো হয়। ভোরে মাকে শীতল ভোগ নিবেদন করা হয়। দেওয়া হয় ছোলা, ফল, মুড়কি, সরবত, মিষ্টি, ফল ও মিছরি ভেজানো জল। মা-কে রাজবেশে সাজানোর পর হয় মঙ্গলারতি।
advertisement
এরপর দুপুরবেলা কিছুক্ষণের জন্য গর্ভগৃহ বন্ধ রেখে মা-কে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়। কালীপুজোর দিন দেবীকে খিচুড়ি, পোলাও, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচমিশালি তরকারি, মাছ, পায়েস, চাটনি, এবং মিষ্টি পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্ব হল পোড়া শোল মাছ মাখা। এছাড়া ছাগ বলির মাংস দিয়ে মায়ের ভোগ হয়। কালীপুজোর সারাদিন ভক্তদের আনাগোনা চললেও সন্ধ্যারতির সময় কার্যত তিল ধারণের জায়গা থাকে না।
এদিন সন্ধ্যাবেলা মা তারাকে বেনারসি শাড়িতে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। লুচি, আলুভাজা, সুজি, পাঁচরকম ফল, পাঁচরকম মিষ্টি ও ক্ষীর ভোগ নিবেদন করা হয়। মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করেন ভক্তরা। এরপর রাতে তন্ত্রমতে মায়ের নিশিপুজো শুরু হয়। সেইসময় তারা অঙ্গে কালীর আরাধনা হয়। রাতে মায়ের ভোগে থাকে খিচুড়ি, শোল মাছ পোড়া, ছাগ মাংস, পাঁচরকম তরকারি এবং কারণবারি। এদিন তন্ত্রসাধকরা শ্মশানে যজ্ঞ করেন। সন্ধ্যে নামতেই তারাপীঠ মহাশ্মশানে শয়ে শয়ে হোমকুণ্ড জ্বলে ওঠে। এই কালীপুজোর রাতে মা তারার সিদ্ধি লাভের আশায় তন্ত্র সাধকরা তন্ত্র সাধনায় মেতে ওঠেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জানা যাচ্ছে, এদিন দুপুর ২টো ৫৭ মিনিটের পর থেকে অমাবস্যা শুরু হচ্ছে। যেহেতু নিশিকালে কালীপুজো, সেই জন্য তাই তারাপীঠের মা তারাকে ওইদিন কালীরূপে পুজো করা হবে। রাত ১০টা-১০ঃ৩০ টার পর সেই পুজো শুরু হবে বলে খবর।