রবিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়াম৷ ঘাটালের শিশু মেলার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই দেব এবং প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে বলে খবর৷ যদিও গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুই৷ তাঁর দাবি তৃণমূলকে বদনাম করতেই অন্য কেউ ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে৷ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন সাংসদ দেব৷ এই ঘটনায় মোট ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ৷
advertisement
তৃণমূল সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে সাংসদ দেবকে বাদ দিয়েই ঘাটাল শিশু মেলা পরিচালনার কমিটি তৈরি করে ফেলেন শঙ্কর দোলুই৷ যদিও এই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি তৈরির জন্য শঙ্কর দোলুইকে বলেন দেব৷ রবিবার ফের নতুন করে কমিটি তৈরির জন্য সবপক্ষকে নিয়ে ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে বৈঠক ডাকা হয়৷
সেই মিটিংয়ের শেষেই দু পক্ষের অনুগামীদের মধ্যে স্টেডিয়ামের ভিতরেই তুমুল সংঘর্ষ ছড়ায়৷ প্রথমে মারামারি থামানোর জন্য অনুরোধ করেন দেব৷ কিন্তু তাঁর কথাও কানে তোলেনি কেউ৷ একে অন্যের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে দু পক্ষ৷ পুলিশও কার্যত অসহায়ের মতো দেখতে গোটা পরিস্থিতি দেখতে থাকে৷ এর স্টেডিয়ামের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ৷ সেখানে রীতিমতো বাঁশ, লাঠি নিয়ে একে অন্যের উপরে হামলা চালায়৷
আরও পড়ুন: হঠাৎ নিখোঁজ শিশুকন্যা, প্রতিবেশীর বাড়িতে মিলল রক্তাক্ত দেহ! গুড়াপে নৃশংস কাণ্ড
ঘটনার পরে দেব বলেন, ‘আমি এখনও এই মেলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই৷ এখনও বলছি, মেলাটা হোক৷ আমি শঙ্করদাকে ফোন করে বলেছিলাম সবাইকে নিয়ে মিটিংটা করুন৷ এটা রাজনৈতিক মেলা অথবা কারও একার মেলা নয়৷ এটা সাধারণ মানুষের মেলা৷ মিটিংটা খুব ভাল ভাবে হয়েছে৷ কিন্তু তার পর যা ঘটল, তার জন্য আমি দুঃখিত৷’
যদিও এই ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী, তা খঁজে বের করতে জেলা নেতৃত্বকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ দেব এবং শঙ্কর দোলুইয়ের মধ্যে সংঘাত নতুন কিছু নয়৷ লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে প্রথমে প্রার্থী হতে রাজি হননি দেব৷ পরে তারকা সাংসদ প্রার্থী হতে রাজি হওয়ার পর কালীঘাটের বৈঠকে শঙ্কর দোলুইকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার পরেও পরিস্থিতি যে বদলায়নি, রবিবারের ঘটনাই তার প্রমাণ৷