শহর ছাড়িয়ে গ্রাম এমনকি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন চিকিৎসার জন্য শান্তিপুর শহরের এই হাসপাতালে আসছেন। প্রতিদিন সকাল থেকেই দেখা যায়, ২০০-২৫০ রোগী লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে এসবের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক সমস্যা ও অভিযোগ। রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, হাসপাতালের বাইরে কোনও শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। ফলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে গিয়ে তাঁদের চরম অসুবিধায় পড়তে হয়। তাছাড়া খোলা আকাশের নিচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। রোদ বা বৃষ্টি থেকে বাঁচার কোনও ছাউনি নেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রশাসনের দুর্দান্ত উদ্যোগ, স্বল্প সুদ ও সরল কিস্তিতে মহিলাদের ঋণ, কীভাবে? জানুন বিস্তারিত
এছাড়া আরও একটি বড় সমস্যার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা নাকি তাঁদের নিকট আত্মীয়দের নাম আগেভাগেই নথিভুক্ত করে রাখেন কিংবা কুপন সংগ্রহ করেন। এর ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা বহু রোগী পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অসহায় রোগী ও তাঁদের পরিবার।
এই বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান, হাসপাতালের ভিতরে একটি শৌচাগার থাকলেও হাসপাতাল খোলার আগে তা ব্যবহার করা যায় না। বাইরে শৌচাগার নির্মাণের মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই, কারণ লাগোয়া এলাকায় একটি হারবাল গার্ডেন রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেই সঙ্গেই রোগীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার সমস্যা সমাধানে তাঁর আশ্বাস, পুজোর পরেই বিশেষ অপেক্ষা করার জায়গা তৈরি করা হবে, যাতে রোদ-বৃষ্টি থেকে রোগীরা সুরক্ষিত থাকতে পারেন। কুপন বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও তিনি জানিয়েছেন। অভিযোগ-অসুবিধা সত্ত্বেও পরিষেবার মান বজায় থাকায় হাসপাতালটি প্রতিদিনই বাড়িয়ে তুলছে সাধারণ মানুষের আস্থা।





