অ্যাথলেটিক ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পরিচালনায় বিহারের পাটনায় পাটলিপুত্র স্পোর্টস কমপ্লেকেসে এই প্রতিযোগিতা আয়েজন করা হয়। এখানে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা অনুর্ধ ১৮ গালর্স জ্যাভলিন থ্রো ইউথ ইভেন্টে ১২ জন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তার মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে তনুশ্রী। আগামিদিনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাই তার লক্ষ্য।
advertisement
আরও পড়ুন- আবহাওয়ার খামখেয়ালীতে জেরবার দক্ষিণবঙ্গ, ইদের দিন কি দুর্যোগ বাংলায়?
তনুশ্রীর বাড়ি নবদ্বীপের বাবলারি পঞ্চায়েতের নিতাইনগরে। তার বাবা পবিত্র মহালদার পেশায় তাঁতের সঙ্গে যুক্ত। অভাবে সংসারে তার বাবার আয়ের উপরেই নির্ভর করে মেয়ের পড়াশোনা থেকে জ্যাভলিন ট্রেনিং-এর সমস্ত খরচ। সম্প্রতি নবদ্বীপ থানার পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সাহায্য করা হয় পবিত্রবাবুকে। কিন্তু তার এই অভাবে সংসারে মেয়ের জ্যাভলিন খরচ চালানো প্রায় নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে পবিত্র বাবুর ।
জানা যায়, ২০২৩ সালে প্রথম এই খেলা শুরু করে তনুশ্রী মহলদার। নবদ্বীপ প্যাক কোম্পানির মাঠে শিক্ষক তারক ভৌমিক তাকে প্রথম জ্যাভলিনের শিক্ষাদান করেন। এর পর তারক ভৌমিক শিক্ষাগুরু কৃষ্ণনগরের শ্যামল সেনের কাছে তনুশ্রীকে পাঠান জ্যাভলিন শেখার জন্য।
আরও পড়ুন- ৩ বছরে এক মুহূর্তের জন্য বন্ধ হয়নি..! এ কী কাণ্ড পুরুলিয়ায়! কী রয়েছে জঙ্গলমহলের অন্দরে
২০২৩ সালের রাজ্যস্তরে তৃতীয় স্তরে উত্তীর্ণ হয় তনুশ্রী। ২০২৩ সালেই জলপাইগুড়ির স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) তে সিলেকশন হয়ে সেখানেই প্র্যাকটিস করে সে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সেখানেই জ্যাভলিনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে নবদ্বীপের তনুশ্রী। ২০২৫ সালে বিহারে গিয়ে দেশের হয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে তনুশ্রী। ভবিষ্যতে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় সে।
Mainak Debnath