আরও পড়ুনঃ আর পাতে পড়বে না ডিম-সহ ইলিশ মাছ! পুজোর আগে জরুরি বৈঠক ডেকে বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা, কিন্তু কেন?
শেষ কয়েক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। তবে চলতি বছর বর্ষার আগেই ডেঙ্গি রোধে তৎপর হয় প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে বারবার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে, বাড়ির আশেপাশে কোনও ভাবেই জল যাতে না জমে। ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী এডিস মশা জলেই ডিম পাড়ে। দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ডেঙ্গি বহনকারী এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করতে পাঁশকুড়া পৌরসভা এলাকার নালা ও ড্রেনে ছাড়া হল গাপ্পি মাছ।
advertisement
গাপ্পি মাছ মশার ‘যম’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হলদিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি এডিস মশার লার্ভা ভক্ষণকারী গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ হাজারেরও বেশি মাছের চারা ড্রেন ও নালায় ছাড়া হয়। ডেঙ্গির প্রকোপ যাতে না ছড়ায় তার জন্য পাঁশকুড়ার প্রতিটি ওয়ার্ডের নালায় ২০ হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়া হল। পৌরসভার চেয়ারপার্সন নন্দ মিশ্র জানান, ‘রাজ্য নগর উন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ডেঙ্গি রোধে পৌর এলাকার ড্রেন ও নালায় গাপ্পি মাছ ছাড়ার। মৎস্য দফতর এই গাপ্পি মাছ সরবরাহ করে। পাঁশকুড়া পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে এক হাজারেরও বেশি এডিস মশার লার্ভা খাদক গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে।’
একটি গাপ্পি মাছ প্রতি ঘন্টায় ২০০ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলতে পারে। পাঁশকুড়া পৌরসভা থেকে জানানো হয়েছে, শুধু গাপ্পি মাছ ছেড়ে ডেঙ্গি রোধ নয়, এর পাশাপাশি ডেঙ্গি সংক্রমণ ঠেকাতে পৌরসভা এলাকায় প্রতিনিয়ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো ও মশা মারার কামান দিয়ে মশার উপদ্রব কমানোর ব্যবস্থা করা হবে।