বর্ধমান শহরেও চারজন ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা যথেষ্টই উদ্বেগের। কারণ আরও দু-তিন মাস ডেঙ্গুর এই প্রকোপ থাকতে দেখা যায়। এখনই তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: কলকাতার মিঠুন চক্রবর্তী, নতুন স্ট্র্যাটেজিতে 'মহাগুরু'ই ভরসা বঙ্গ বিজেপি-র!
advertisement
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, প্রথম প্রথম আক্রান্তদের একটা বড় অংশেরই 'ট্রাভেল হিস্ট্রি' পাওয়া যাচ্ছিল। অর্থাৎ জেলার বাইরে কোনও জায়গা থেকে ফেরার পর ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবেই বাইরে থেকে আসা মানুষজন চিন্তা বাড়াচ্ছিল প্রশাসনের। তবে এখন বাইরে যাননি এমন অনেকেও মশা বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন রাঁধুনির কাছে রয়েছে মারাত্মক তথ্য, অনুব্রতকে আরও ঘিরছে সিবিআই! নিশানায় সুকন্যাও
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পূর্বস্থলীর সারাংপুর গ্রামের বাগদাদ মিঞা নামে এক যুবক। তিনি হাওড়ার ডানকুনি এলাকায় সোনার গয়না তৈরির দোকানে কাজ করতেন। কলকাতা থেকে ফিরেই জ্বরে আক্রান্ত হন বাগদাদ৷ পরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। কেতুগ্রামের ইছাপুরের বাসিন্দা মানব বাউরি কলকাতার নারকেলডাঙ্গাতে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। তিনিও জ্বর হলে বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁর ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে৷ হায়দরাবাদ থেকে ফিরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন গৌতম দাস নামে আরও এক যুবক৷ মুম্বইতে কাকার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন আব্দুল সাহিদ মল্লিক নামে এক যুবক। তিনিও ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে জানা যায়। এছাড়া নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা হোসেনারা খাতুন নামে এক মহিলার শরীরেও ডেঙ্গু পাওয়া গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
