পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন মাসের ১৭ তারিখ দিল্লির রোহিনী পুলিশ জেলার কে. এন কাটজু থানা ওই ছ’জনকে আটক করা হয়। আটক হতেই তাঁরা তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করেন বীরভূমের পাইকরে থাকা নিজেদের পরিবার পরিজনদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তাদের পরিবারের সদস্যরা দিল্লি এসে যেন তাঁদের মুক্ত করান। এই বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যেরা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে পৌঁছানোর পর কে. এন কাটজু থানা থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশি সন্দেহে যাঁদের আটক করা হয়েছিল, তাঁদের বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সেদিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল মিরিকে? সামনে এল ভয়াবহ দৃশ্য! দেখুন… প্রতিটি পাহাড়প্রেমী শিউরে উঠবেন!
এই ধরনের খবর পাওয়ার পরে কার্যত মাথায় বজ্রপাত পরে পরিবারের মধ্যে। তবে থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁরা সকলে বাংলাদেশের জেলে বন্দি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলার শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “কলকাতা হাইকোর্ট গত মাসের ২৬ তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের ভারতবর্ষে নিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে, কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ আদালত থেকে ইন্ডিয়ান হাই কমিশনকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে এই যে ছ’জন রয়েছে তাদের আধার কার্ড দেখে জানা গিয়েছে, তাঁরা ভারতীয় তাদের বাংলাদেশে যে কোনও কারণবশত পুশব্যাক করা হয়েছে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের ভারতবর্ষে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। তাই আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে আবার ভারতবর্ষে ফিরিয়ে নিয়ে আশা হবে।”
অন্যদিকে, পরিবারের এক সদস্য যারা বর্তমানে বীরভূমে রয়েছে তারা জানান, “যে ছ’জনকে বাংলাদেশ জেলে আটকে রাখা হয়েছে তার মধ্যে এক মহিলা ৮ মাসের গর্ভবতী রয়েছেন। যদি তাদের খুব শিগগিরই ছেড়ে না দেওয়া হয়, তাহলে যে বাচ্চার জন্ম হবে তার পরিচয় কী হবে এই নিয়ে কার্যত দুশ্চিন্তায় রয়েছি”। সব মিলিয়ে পরিবারের লোকজন এখন দিন গুনছেন তাঁদের বাড়ি ফেরার।