এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এখানে মূলত অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা এই প্রদীপগুলো বানায়। তাদের সঙ্গে এই মাঠে খেলতে আসে আরও ছোট ছোট বাচ্চারা, তারাও আনন্দের সঙ্গে হাতে হাত মেলায় আর রং করে”।
আরও পড়ুন: বিশাল প্রতিমা, বাজেট ৫ লক্ষ টাকা! এবার পুরুলিয়ার ‘এই’ কালীপুজো মুখিয়ে দর্শনার্থীরা
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল শীতলা গ্রাম। এই গ্রামে পিছিয়ে পরা ও আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল ছেলে-মেয়েরা দীপাবলি এলেই তারা মুখিয়ে থাকে মোমবাতির প্রদীপ তৈরি করার জন্য। এই এলাকার মূলত অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা আনন্দের সঙ্গে সবাই মজা করে এক সঙ্গে বসে প্রদীপ বানাচ্ছে। কিন্তু কীভাবে তৈরি করছেন তারা প্রদীপ। তারা প্রথমে প্রদীপ নিয়ে আসছে তারপরে মোম গলিয়ে ভরা হচ্ছে প্রদীপের মধ্যে। সেখানে একটি সলতে দেওয়া হচ্ছে এই প্রদীপের কোনও রকম লাগবে না তেল। এর পরে পুরো প্রদীপের উপরে সাদা হলুদ বিভিন্ন রং করা হয় সেটি রৌদ্রে শুকানোর পরে তার উপরে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাহারি রং দিয়ে নকশা। যা এক রকম অপরূপ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তলা হচ্ছে প্রদীপগুলোতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রীতিমতো এই প্রদীপ যাচ্ছে রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্য এমনকি বিদেশে আমেরিকাও পৌঁছয়। ছাত্র-ছাত্রীদের এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। স্বাভাবিকভাবে তাদের এই প্রদীপগুলি বিক্রি করার পর যে অর্থ উপার্জন হয় সেগুলি দিয়ে তারা এই দীপাবলীর পরে বই, খাতা পেন এবং পড়াশোনার কাজে তারা খরচ করে। তাই দীপাবলি আসলেই পড়াশোনার খরচের একটা আশার আলো দেখতে পাই ছাত্র-ছাত্রীরা।