প্রতিবছর ঘাটালের সঙ্গে বন্যা শব্দটি যেন জুড়ে রয়েছে। বর্ষা এলেই ভয়ের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ঘাটাল মহকুমাজুড়ে। ইতিমধ্যেই আষাঢ়ের প্রথমে দুদিনের টানা বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উঠেছে শিলাবতী, কেঠিয়া ও কানা নদী। যেকোন মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে নদীর অস্থায়ী, দুর্বল বাঁধ। শিলাবতী নদীর উপর দিয়ে চলছে স্রোত। শুকনো নদী ক্রমশ ভয় ধরাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদিও এই মুহূর্তে ঘাটাল শহর এবং পৌর এলাকা জুড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। সেদিকে নজরদারি রেখেছে মহকুমা প্রশাসন।
advertisement
আরও পড়ুন: দাম ২৫০০ টাকা! মেদিনীপুরের সবং ছাড়াও এই গ্রামের মাদুরের নামডাক রয়েছে আলাদা
দুদিনের টানা বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ভগবন্তপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার শিলাবতী, কেঠিয়া এবং কানা নদী। হু হু করে নদীতে জল বাড়ার ফলে নদীর উপর থাকা পাঁচ আমি এলাকার একটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই চন্দ্রকোনার ভগবন্তপুর এলাকার ঘোষকিরা গ্রামে কানায় কানায় পূর্ণ নদী। গত বছরের বন্যার সময় থেকে দুর্বল হয়েছে নদীর বাঁধ। যেকোন মুহূর্তে ভেঙ্গে নষ্ট হতে পারে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি। জল ঢুকতে পারে বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টি এবং একাধিক জলধার থেকে জল ছাড়ার কারণে নদীতে বাড়ছে জলস্তর। ঘাটাল মহকুমা জুড়ে একাধিক নদী ক্রমশ ফুলেফেঁপে উঠছে। যদিও নদীর জলস্তর বাড়া এবং বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নজরদারি রেখেছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। স্বাভাবিকভাবে সমস্ত ঘটনার উপর নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসনের অধিকর্তারা।
রঞ্জন চন্দ