আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার বানভাসি ভুতনি এলাকা, উৎসব নিয়ে চিন্তিত বাসিন্দারা
রাত দিন জেগে শিল্পীদের জড়ি, চুমকি এবং আরও বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাজ তৈরি করতে হচ্ছে। পূর্বস্থলীতে তৈরি হওয়া সাজ দিয়েই সেজে উঠবে ভিন রাজ্যের দূর্গা প্রতিমা। এই প্রসঙ্গে কৌশিক নাথ জানিয়েছন , আমার কাজের চাহিদা রয়েছে। প্রত্যেক বছর বাইরে যায়। এবারেও যাবে, আমি খুবই আনন্দিত। বর্তমানে কৌশিকের কাছেই কাজ করেন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন মহিলা। কাজের চাহিদা বাড়ার কারণে কৌশিক নিজেই কাজ শিখিয়েছেন একাধিক মহিলাকে।সেই সকল মহিলারাও এখন এই কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন। এই বিষয়ে সুলতা নাথ জানিয়েছেন, সংসার সামলানোর পরেও আমাদের এই কাজ করতে হয়। আমাদেরও কাজ করতে ভাল লাগে। তবে এই বৃষ্টির কারণে কাজে একটু সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি থেমে গেলে কাজ আরও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে।
advertisement
কৌশিক প্রথম যখন এই কাজ শুরু করেছিলেন তখন তার কাজের এত কদর ছিলনা। পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে বাড়িতে বসেই এই কাজ করতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার শিল্পের সুনাম। কৌশিকের হাতে তৈরি ঠাকুরের সাজ পাড়ি দিতে থাকে বিভিন্ন জায়গায়। চাহিদা বাড়তে থাকে জড়ি, চুমকি দিয়ে তৈরি সাজের।
এবার দুর্গা পুজোর আগে পূর্বস্থলীর দোগাছিয়া এলাকায় তৈরি এই সাজ, পাড়ি দেবে উত্তর প্রদেশের গোরখপুর এবং আসামের শিলচর। ভিন রাজ্যের দুর্গা প্রতিমা সেজে উঠবে পূর্ব বর্ধমানের শিল্পীর তৈরি সাজে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী