মৃতার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্বামী নাজমুল হুদা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। যদিও স্বামীর বাড়ির তরফে বলা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে নাসরিন। জানা গিয়েছে, বারাসতের টাকিখোলা এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা পেশায় অস্থায়ী হোমগার্ড, কর্মরত মধ্যমগ্রাম ট্রাফিক বিভাগে। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নাসরিনের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হত। তাঁকে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়াও দিত না শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
advertisement
একাধিকবার তাঁকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। মৃতার পরিবারের আরও অভিযোগ, নাজমুলের সঙ্গে অন্য এক মহিলার সম্পর্ক ছিল। সেই নিয়েই প্রায় অশান্তি হতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। কিছুদিন আগেই নাসরিন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি করেছেন তাঁর পরিজনেরা। এদিন স্বামীর বাড়ি থেকে ফোন আসে নাসরিনের বাবার কাছে। জানানো হয়, তাঁর মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপরে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাসরিনের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী নাজমুল হুদাকে আটক করেছে বারাসত থানার পুলিশ, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র নাজমুলকেই আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও উত্তেজনা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাসরিনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে বারাসত থানার পুলিশ।
Rudra Narayan Roy