মাত্র দশ বছরের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল খাতুন ও তার সহপাঠী আয়েশা খাতুন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় একটি দ্রুতগামী ১০৭ নম্বর ম্যাক্স গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পড়ুয়ার উপর। মুহূর্তের মধ্যে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জান্নাতুলের। গুরুতর জখম হয় আয়েশা।
সেখানেই থেমে থাকেনি দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ গাড়িটি ছুটে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে একটি কাঠের গুদামে এবং উল্টে যায়। এতে গাড়ির চালক ও খালাসীও গুরুতর আহত হয়। আহত আয়েশা, চালক ও খালাসী—এই তিনজনকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করে সারাফুল নির্মাণ গ্রামীণ হাসপাতালে।
advertisement
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। খেলার মাঠে যে মেয়েটি সকাল পর্যন্ত হাসি-খুশি দৌড়চ্ছিল, দুপুরে তার প্রাণহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখে শিউরে ওঠেন প্রতিবেশীরা। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় সমগ্র গ্রাম। ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ ঘাতক গাড়ির চালককে আটক করে ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন- যুব কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড! অভিজ্ঞতা জানালেন কোয়েল বর!
এর পরই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় মানুষের জীবন সুরক্ষিত নয়। পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে। ঘটনার তদন্ত চলছে।