ছেলে সোনার কাজে ভিন রাজ্যে, মায়ের গা ভর্তি সোনার গহনা। এই গয়নাই কী কাল হল মায়ের? শুনতে অবাক লাগলেও, বুধবার ৯ মার্চ দাসপুর থানার কলোড়ায় কাঁসাই নদী থেকে মহিলার যে গলা কাটা পাথর চাপা দেহ উদ্ধার হয় সেই মহিলার পরিচয় শুক্রবার জানা য়ায়। দাসপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মহিলার নাম উর্মিলা দাস। বয়স প্রায় ৫৮ বছর। বাড়ি দাসপুর থানার নবীনমানুয়া সীতাপুর এলাকায়। স্বামী চিত্তরঞ্জন দাস মৃত দেহের ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে নিজের স্ত্রীকে শনাক্ত করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশ, কী পেলেন মহিলারা? কোথায় বাড়ল বরাদ্দ?
ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ৮ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল প্রায় ৫টা নাগাদ উর্মিলা দাস বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। উর্মিলা দাসের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলে সোনার কাজ করেন, বৌমাকে নিয়ে ভিন রাজ্যেই থাকেন। বাড়িতে থাকতেন উর্মিলা দেবী ও তাঁর স্বামী চিত্তরঞ্জন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সোমনাথ ভৌমিক জানান, উর্মিলা দেবী গয়না পরতে ভালোবাসতেন। বাড়িতে ও বাড়ির বাইরেও যখন বেরোতেন গা ভর্তি গয়না পরেই থাকতেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যবাসীর জন্য বিরাট সুখবর! এ বারে স্বাস্থ্যসাথীতে মিলবে আরও বহু সুবিধা, নয়া নির্দেশ জারি...
এ দিন উর্মিলা দাস মেয়ের বাড়ির এক নাতনির বিয়ের বিষয়ে এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে ছেলের খোঁজে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরই বুধবার সকালে দাসপুর থানার কলোড়া গ্রামে কাঁসাই নদীর জলে উর্মিলা দাসের গলা কাটা পাথর চাপা পড়া দেহ উদ্ধার করে দাসপুর পুলিশ।প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই গয়না ছিনতাই করতে গিয়েই উর্মিলা দাসকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। খোঁজ চলছে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির। বেশ কিছুদিন ধরেই উর্মিলা দেবী নাতনির সম্বন্ধ খুঁজছিলেন। সেই সময়েই পরিচয় হয়েছিল ওই ব্যক্তির সঙ্গে। সেই থেকেই কী পরিকল্পনা করে সোনার গহনা হাতানোর ছক তৈরী হয়? ক্রমশ তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে দাসপুর থানার পুলিশ।
Sukanta Chakraborty