গত শুক্রবার অমরনাথ যাত্রার শিবিরে থাকাকালীন মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিলেন ২৫ বছরের বর্ষা৷ মাকে বাঁচাতে গিয়েই বিপদে পড়েন বর্ষা৷ পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়৷ ময়নাতদন্তের পর রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছয় বর্ষার দেহ৷ স্থানীয় বিধায়ক বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে বর্ষার দেহ ফেরানো হয়৷ বর্ষার সঙ্গেই কলকাতায় ফেরেন তাঁর মা নিবেদিতা মুহূরি৷ বিমানবন্দরের বাইরে বেরিয়েই কান্নায় ভেেঙ পড়েন তিনি৷ ভেঙে পড়েন বর্ষার মামাও৷
advertisement
আরও পড়ুন: আর একদিন দেরি হলেই হয়তো... ভেবেই শিউরে উঠছেন টালিগঞ্জের দম্পতি
বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাসের নেতৃত্বে পুরসভার চার পুরপিতা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। বিমানবন্দর থেকে বারুইপুরের বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ষার নিথর দেহ।
অমরনাথ দর্শনের পর কাশ্মীর ঘুরে আগামী ১৬ জুলাই কলকাতায় ফেরার কথা ছিল বর্ষাদের৷ বারুইপুরের চক্রবর্তী পাড়া থেকে অমরনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন সাত জন৷ গত ৮ জুলাই অমরনাথ দর্শনও হয় বর্ষার৷ কিন্তু তার পরেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েন তিনি৷ পড়াশোনায় মেধাবী, মিশুকে স্বভাবের বর্ষা আর নেই, তা যেন এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না প্রতিবেশীদের৷