আরও পড়ুন: পুনর্মিলন উৎসবে এসে স্কুল বাঁচানোর অঙ্গীকার প্রাক্তনীদের
সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত হাসপাতালের শয্যাতেই পড়ে রইল বৃদ্ধ চন্দ্রজিৎ অধিকারীর দেহ। পরিবারের সদস্যরা না আসায় তাঁর দেহ ওভাবেই পড়ে থাকে। ফলে একসময় দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। অসুস্থ বোধ করতে থাকেন হাসপাতালে ভর্তি বাকী রোগীরা। অনেকেই শয্যা থেকে উঠে হাসপাতালের বাইরে এসে বসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
শেষমেশ পুলিশের সহযোগীতায় দেহটি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিবেনী শান্তি কলোনিতে বাড়ি চন্দ্রজিৎ অধিকারীর। গত ২২ ডিসেম্বর দুপুর বারোটা নাগাদ ওই বৃদ্ধকে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ছিল। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়ার পর পরিবারের আর কেউ দেখতে আসেনি বা যোগাযোগ করেনি। চিকিৎসকরা বারবার ফোন করলেও কেউ ফোন তোলেননি। তিনি স্বাভাবিক বার্ধক্যজনিত কারণে শেষে মারা গেলেও পরিবারের কেউ এল না। আর তাতেই দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের শয্যায় দেহ পড়ে থাকায় ছড়ায় প্রবল দুর্গন্ধ। এই বিষয়ে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ মঞ্জুর আলম জানান, বৃদ্ধকে ভর্তি করে দিয়ে যাওয়ার পর আর সেভাবে খোঁজ খবর নেয়নি পরিবার।হাসপাতালের কর্মীরাই দেখাশোনা করেছেন। বুধবার সকালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের। এরপর ওনার ছেলে-জামাইকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি। পরে ফোনও বন্ধ করে দেয়। শেষে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে দেহটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাহী হালদার